বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ নদের তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে আজ মঙ্গলবার থেকে আবারও অভিযানে নামছে বিআইডব্লিউটিএ। এটি হবে চলমান অভিযানের দ্বিতীয় পর্ব। আগামী ২৮ মার্চ পর্যন্ত চারটি পর্যায়ে মোট ১২ দিন এ অভিযান চলবে। তবে রাজধানীর পশ্চিম হাজারীবাগে হাইক্কার খালের কাছে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের সংযোগস্থলে বছিলা এলাকায় অবৈধভাবে নির্মিত আলোচিত ১০ তলা ভবনটি এবারের অভিযানের উচ্ছেদ তালিকার শীর্ষে থাকলেও এ নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। অভিযানের প্রথম দিন আজই ভবনটি ভাঙার কথা ছিল। তবে রাজউকের সাড়া না মেলায় এ বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএর ঢাকা নদীবন্দরের যুগ্ম পরিচালক এ কে এম আরিফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, মালিকপক্ষের দাবি, ভবনটি নদীর সীমানার মধ্যে পড়েনি। বিআইডব্লিউটিএর প্রকৌশলীরাও একই মত দিয়েছেন। তবে ভবনটি রাজউকের অনুমোদন ছাড়া নির্মিত হওয়ায় এটি ভাঙার দায়িত্ব ওই সংস্থার ওপরই বর্তায়। এ কারণেই নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও বিআইডব্লিউটিএ থেকে ভবনটি ভেঙে ফেলার বিষয়ে রাজউকের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছিল। জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে আজ মঙ্গলবার শুরু হয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অভিযান চালানো হবে।
আজ সকাল ৯টায় বছিলার নিকটবর্তী বুড়িগঙ্গার তীরে হাইক্কার খাল ও তুরাগের তীরে চন্দ্রিমা উদ্যান এলাকা থেকে অভিযান শুরু হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে ১২ থেকে ১৪ মার্চ, তৃতীয় পর্যায়ে ১৯ থেকে ২১ মার্চ এবং চতুর্থ পর্যায়ে ২৫, ২৭ ও ২৮ মার্চ বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ তীরের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ ও অপসারণ করা হবে। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রথম পর্বের তালিকা ধরেই এ অভিযান চালানো হবে। এর আগে ২৯ জানুয়ারি থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত প্রথম পর্বের উচ্ছেদ অভিযান চলেছে। চার পর্যায়ে মোট ১২ দিন বুড়িগঙ্গা ও তুরাগের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এ অভিযান চালানো হয়।
ইনিউজ ৭১/এম.আর
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।