রাজধানীর চকবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ভয়াবহতা এখন বিশ্বব্যাপী আলোচিত। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে একটি আবাসিক ভবনে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় রাস্তায় যানজটে আটকে থাকায় অনেকে প্রাণে রক্ষা পাননি। আগুনের কবল থেকে পালিয়ে বাঁচার আগেই মৃত্যু তাদের গ্রাস করে নিয়েছে।স্থানীয়রা বলেন, চুড়িহাট্টা বড় মসজিদের সামনের চৌরাস্তায় প্রায়ই যানজট লেগে থাকে, অগ্নিকাণ্ডের সময় এর ভয়াবহতা এতটা তীব্র ছিল যে, সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় অবস্থানরত প্রাইভেটকার, রিকশা, সাইকেল, ভ্যানগাড়ি, মোটরসাইকেল পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
ঘটনার পর চুড়িহাট্টা ওহাব ভবনের সামনে পড়ে থাকতে দেখা যায় প্রায় ৩০টির মতো রিকশা, চারটি পিকআপভ্যান, তিনটি প্রাইভেটকার, প্রায় ২০টির মতো মোটরসাইকেল। আগুনে পুড়ে এগুলোর অবশিষ্টাংশ পড়ে ছিল সেখানে। বডি স্প্রে ও রাসায়নিক কারখানা থাকায় আগুনের ভয়াবহতা বেশি ছিল।সড়কজুড়ে বডি স্প্রে ও সুগন্ধির বোতল পড়ে থাকতে দেখা গেছে।স্থানীয় বাসিন্দা জুবায়ের বলেন, যখন সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে, তখন লোকজন দৌঁড়াদৌঁড়ি শুরু করলে কেউ কেউ নিরাপদে সরে যেতে পারেননি। অনেকে গাড়ির ভেতর থেকে বের হওয়ার আগেই গাড়িতে আগুন ধরে যায়, আশপাশে ভবনের আগুন লেগে অনেক দোকানি মারা গেছেন।
ফায়ার সার্ভিসের প্রধান আলী আহমেদ দোহাভিত্তিক আলজাজিরা বলেন, ভবনের ভেতর প্লাস্টিকের দ্রব্য ও দাহ্য পদার্থ থাকায় তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।তিনি বলেন, চারটি লাগোয়া অবকাঠামোর ভেতর দিয়ে আগুনের বিস্তার ঘটেছে। এসব ভবনে প্লাস্টিকের দানা ও বডি স্প্রের মজুদ ছিল।সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে- আগুন যখন ছড়িয়ে পড়ছিল, তখন সড়কজুড়ে যানজট ছিল। এতে সরু গলির ভেতর দিয়ে লোকজন পালাতে পারেননি,’ যোগ করেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।