দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নজরদারিতে রয়েছেন ঘুষের টাকায় ‘সম্পদের কুমিরে পরিণত হওয়া’ চট্টগ্রাম কাস্টমের ডজনখানেক কর্মকর্তা। শিগগির তাদের বিরুদ্ধে অভিযানেও নামছে সংস্থাটি। দুদক সূত্রে জানা যায়, দুদকের করা এ তালিকায় রয়েছেন বেশ কয়েকজন রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও), সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও)। তারা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত রয়েছেন। এসব কর্মকর্তাকে গ্রেফতারে শিগগির অভিযানে নামবে দুদক টিম। এসব কর্মকর্তা বিরুদ্ধে প্রাথমিকভাবে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত ও দুর্নীতির প্রমাণ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রধান কার্যালয়ের অনুমোদনও চেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়। প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেলেই অভিযান পরিচালনা করা হবে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।
জানতে চাইলে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-পরিচালক মু. মাহবুবুল আলম বলেন, দুদকের নজরদারিতে রয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কর্মরত ডজন খানেক কর্মকর্তা। তারা দীর্ঘদিন ধরে এখানে কর্মরত রয়েছেন। মু. মাহবুবুল আলম বলেন, কাস্টম হাউসের অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য রয়েছে। তথ্য যাচাই-বাছাই করে আপাতত রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত রয়েছে। দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন পেলে শিগগির অভিযান পরিচালনা করা হবে। বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অভিযান চালিয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) নাজিমুদ্দিনকে গ্রেফতার করে দুদক। এ সময় নাজিমুদ্দিনের অফিসের আলমারিতে রাখা ‘ঘুষ হিসেবে নেওয়া’ ৬ লাখ টাকা উদ্ধার করে দুদক। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে সমুদ্রগামী জাহাজকে ছাড়পত্র প্রদানে ঘুষ বাণিজ্য ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকের অভিযোগ কেন্দ্রে (হটলাইন-১০৬) অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।