সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট মার্চে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: রবিবার ৬ই জানুয়ারী ২০১৯ ১২:২১ অপরাহ্ন
সংরক্ষিত নারী আসনে ভোট মার্চে

একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা আগামী ফেব্রুয়ারীতে এবং মার্চে অনুষ্ঠিত হবে ভোটগ্রহণ । ইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে। একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়ে কার্যভার গ্রহণ করেছেন। ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের নেতা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ করে মন্ত্রিসভা গঠনের সম্মতি দিয়েছেন। এবার সংসদের সংরক্ষিত আসনে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আইন নির্ধারিত উপায়ে এ নির্বাচন সম্পন্ন করতে হবে। এক্ষেত্রে আগামী ফ্রেবুয়ারির মাঝামাঝিতে তফসিল দিয়ে মার্চের মধ্যেই ভোটগ্রহণ করা হবে। দলগুলো যোগ্যতা সম্পন্ন যে কোনো নারীকে মনোনয়ন দিতে পারবেন। কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মনোনয়নপ্রাপ্তদের বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করবেন।

নির্বাচন কমিশন সেই তথ্যের ভিত্তিতে দল, বা জোটের দেওয়ার তথ্য অনুযায়ী, কোনো দল বা জোট বা স্বতন্ত্র প্রার্থিদের তালিকা প্রস্তুত করে সংরক্ষিত আসন বন্টন করবে ফলাফলের গেজেট প্রকাশের পরবর্তী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে। অর্থাৎআগামী ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশন এ তালিকা প্রস্তুত করবে। তালিকা প্রস্তুতের পরের কার্যদিবসে অর্থাৎ ১৩ ফেব্রুয়ারি সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনের প্রকাশ্য কোনো স্থানে টানিয়ে দেবে। একইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে সেই তালিকা প্রত্যায়িত কপি টানানোর জন্য বলবে। নির্বাচনের আগে সেই তালিকার আর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো করণিক ভুল হলে নির্বাচন কমিশন তা সংশোধন করতে পারবে। এর আগেই সংসদ সচিবালয়কে শপথগ্রহণকারী সদস্যদের একটি তালিকা শপথ গ্রহণের তিন কার্যদিবসের মধ্যে মধ্যে অর্থাৎ আগামী ৮ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন কমিশনে পাঠাতে হবে। যাদের ভোটার হিসেবে গণ্য করবে নির্বাচন কমিশন। নির্ধারিত এই সময়ের মধ্যে সংসদ সদস্যদের তালিকা সংসদ সচিবালয় নির্বাচন কমিশনকে পাঠাবে।

আইন অনুযায়ী, ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী নব্বই দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এক্ষেত্রে ১ এপ্রিলে মধ্যে এ নির্বাচন করতে হবে। ২০১৪ সালে ৫ জানুয়ারির দশম সংসদ নির্বাচনেরও পর সে বছর মার্চে ৫০ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্যই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন।আইন বলছে, নবনির্বাচিতদের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশের পরবর্তী ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে দল বা জোটগুলো বা স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের জোটের অবস্থান নির্বাচন কমিশনকে জানাবে। সে মোতাবেক আগামী ৩০ জানুয়ারির মধ্যে তাদের এ সংক্রান্ত তথ্য নির্বাচন কমিশনকে জানাতে হবে।