প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২:৪
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, দেশের রাজনৈতিক দলগুলো শিগগিরই সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের মূল বিষয়সমূহ নিয়ে একটি ‘জুলাই সনদ’ সই করবে। তিনি বলেন, এই সংস্কারগুলোর মূল লক্ষ্য হলো বাংলাদেশে আরেকজন স্বৈরশাসকের উত্থান রোধ করা।
বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদরদপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গে বৈঠকে ড. ইউনূস এই আশাবাদ ব্যক্ত করেন। প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বৈঠকের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।
বৈঠকে দুই নেতা বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, অন্তর্বর্তী সরকারের গ্রহণ করা সংস্কারমূলক পদক্ষেপ, পাকিস্তানের সাম্প্রতিক ভয়াবহ বন্যা, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ড. ইউনূস পাকিস্তানে সাম্প্রতিক বন্যায় এক হাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণহানিতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানান। শেহবাজ শরিফ এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘন ঘন ও তীব্র হওয়ার কারণ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের আসন্ন ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের প্রস্তুতির কথাও আলোচনা হয়। ড. ইউনূস বলেন, ১১টি জাতীয় কমিশনের প্রস্তাবিত বড় ধরনের রাজনৈতিক সংস্কার দেশে অর্থবহ রাজনৈতিক রূপান্তরের পথ সুগম করবে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আলোচনা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং দলগুলো শিগগির সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের মূল বিষয়সমূহ নিয়ে ‘জুলাই সনদ’ স্বাক্ষর করবে বলে আশা প্রকাশ করা হয়েছে।
সার্ক কার্যত নিষ্ক্রিয় থাকায় আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদারের বিকল্প পথ নিয়েও দুই নেতা আলোচনা করেছেন। বৈঠকে শেহবাজ শরিফ ড. ইউনূসকে অন্তর্বর্তী সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে পাকিস্তান সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া এবং এসডিজি-বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ। দুই দেশের নেতাদের আলোচনা রাজনৈতিক সংস্কার, আঞ্চলিক সহযোগিতা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ক্ষেত্রে সমন্বয় বাড়াতে সহায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে।