প্রকাশ: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৫:৩৭
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. আলী রীয়াজ বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রোডম্যাপ বা পথরেখা তৈরি হবে। তিনি মনে করেন, এই প্রক্রিয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা ও সহযোগিতার নতুন ধারা তৈরি করছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। বৈঠকে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার সূচনা হয় এবং সেখানে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ড. আলী রীয়াজ জানান, যদিও কয়েকটি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট রয়েছে, তবে মোট ৮৪টি বিষয়ে অধিকাংশ দল একমত হয়েছে। তিনি বলেন, এতে প্রমাণিত হয় যে দেশের বড় রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে একটি কার্যকর ঐকমত্য তৈরি হচ্ছে, যা ভবিষ্যতের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করছে।
তিনি আরও বলেন, ৩১ জুলাই আনুষ্ঠানিক বৈঠক শেষ হলেও এর পরেও একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশেষ করে অঙ্গীকারনামা নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে, যা প্রক্রিয়াটিকে আরও দৃঢ় করছে।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের মধ্যে ছিলেন দুইজন সাবেক বিচারপতি, তিনজন আইনজীবী ও দুইজন আইন শিক্ষক। এছাড়া অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গেও পরামর্শ করা হয়েছে। ড. আলী রীয়াজ মনে করেন, এই পরামর্শগুলো কমিশনের কাজকে আরও নিরপেক্ষ ও প্রাসঙ্গিক করে তুলবে।
তিনি বলেন, কমিশন নিজ থেকে কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চায় না। বরং রাজনৈতিক দলগুলোকে আলোচনার মাধ্যমে একমত করিয়ে সরকারের কাছে প্রস্তাব পৌঁছে দেওয়াই মূল লক্ষ্য। এ জন্য প্রতিটি দলের সহযোগিতা অপরিহার্য।
বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপিসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, আজকের আলোচনার ভিত্তিতে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবনা তৈরি করা হবে যা দ্রুত সরকারের কাছে পাঠানো হবে।
কমিশনের সদস্যদের মধ্যে বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. মো. আইয়ুব মিয়া এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার উপস্থিত ছিলেন। তারা মনে করেন, এই আলোচনাই দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে নতুন মাত্রা যোগ করবে।