প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৮:২১
সংস্কার কমিশনগুলোর করা সুপারিশের মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার ইতিমধ্যেই ৩৭টি বাস্তবায়ন করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ফরেন সার্ভিস একাডেমি মিলনায়তনে এক ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান। তিনি জানান, সংবিধান সংস্কার কমিশন ছাড়া মোট ১০টি অন্যান্য সংস্কার কমিশনের আশু সুপারিশগুলোর মধ্য থেকে ইতিমধ্যেই ৩৭টি বাস্তবায়িত হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, গত সপ্তাহে ১২১টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন ছিল। তবে সম্প্রতি ২৪৬টি অতি গুরুত্বপূর্ণ আশুকরণীয় রিফর্ম যোগ হয়েছে। ফলে মোট ৩৬৭টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও ক্যাবিনেটকে বিস্তারিতভাবে অবহিত করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, বাস্তবায়নের অগ্রগতির ওপর নিয়মিত মনিটরিং চালানো হচ্ছে।
শ্রম বিভাগের ক্ষেত্রে ২৪৬টি আশু সুপারিশের মধ্যে ৮২টি সুপারিশ রয়েছে। শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার (অব.) সাখাওয়াত হোসেন জানিয়েছেন, এই সুপারিশগুলোর মধ্যে অনেকগুলোই ফাইনাল পর্যায়ে আছে এবং কিছু কিছু ইতিমধ্যেই বাস্তবায়িত হয়েছে। এটি শ্রম ক্ষেত্রের উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
নারী কমিশনের ৭১টি সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের ৩৭টি, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ৩৩টি এবং তথ্য মন্ত্রণালয়ের ২৩টি সুপারিশও বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এভাবে মোট ৩৭টি সুপারিশ সম্পূর্ণ বাস্তবায়িত হয়েছে।
এছাড়া আংশিকভাবে ১৪টি সুপারিশ বাস্তবায়িত হয়েছে। এখনও ৩১৬টি সুপারিশ বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রেস সচিব জানান, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশের প্রশাসনিক ও সামাজিক কাঠামো আরও কার্যকর ও স্বচ্ছ হবে।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ও সিনিয়র সহকারী প্রেস সচিব ফয়েজ আহমেদও ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। তারা জানান, সরকারের লক্ষ্য হল সুপারিশগুলোর কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের প্রশাসনিক সংস্কার ও জনকল্যাণ নিশ্চিত করা।
শফিকুল আলম বলেন, সকল সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও কর্মকর্তাদের সাথে সমন্বয় করে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে প্রতিটি সুপারিশ বাস্তবায়ন করা হবে। এটি দেশের প্রশাসনকে আরও দক্ষ এবং জনগণের কাছে সরকারকে আরও স্বচ্ছভাবে উপস্থাপন করবে।