প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ২০:১৮
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে. এম. নুরুল হুদাকে আটক করেছে পুলিশ। রোববার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। তবে ঠিক কী কারণে তাকে আটক করা হয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে সে বিষয়ে নিশ্চিত করেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে দুপুরে বিএনপির পক্ষ থেকে কে. এম. নুরুল হুদাকে প্রধান আসামি করে একটি মামলা দায়ের করা হয়। মামলার পরপরই সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হলো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা এটিকে একটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হিসেবে দেখছেন।
শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় তার সঙ্গে আরও ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং পুলিশের সাবেক চার মহাপরিদর্শক (আইজিপি)-কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে এবং ভয়-ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে একাধিক জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করেছেন। এতে ভোটাধিকার হরণ হয়েছে বলে দাবি করেছেন মামলার বাদী।
এছাড়াও সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, তৎকালীন নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক, শাহ নেওয়াজ, রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম এবং ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলীকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, মামলার তদন্তের স্বার্থে প্রয়োজনীয় আইনানুগ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ এবং মামলার প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে কে. এম. নুরুল হুদার গ্রেপ্তারের ঘটনায় রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। বিএনপি নেতারা একে “বিচারিক অগ্রগতি” হিসেবে দেখলেও, ক্ষমতাসীন দল এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
অভিযোগকারী পক্ষের দাবি, অভিযুক্তরা সাংবিধানিক দায়িত্বে থেকেও জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং নির্বাচনকে প্রহসনে রূপ দিয়েছেন। তাদের এ কর্মকাণ্ড ফৌজদারি অপরাধের আওতায় পড়ে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।