গাজায় ইসরায়েলের নির্মম হামলায় হাজার হাজার নিহত, বাংলাদেশের তীব্র নিন্দা

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইসরায়েল গাজায় নারি-শিশুসহ সাধারণ মানুষের ওপর যে বর্বরোচিত হামলা চালাচ্ছে তা মানবতার জন্য বড় হুমকি। এসব হামলায় প্রাণ হারাচ্ছে অসংখ্য নিরীহ মানুষ। ধ্বংস করা হচ্ছে হাসপাতাল, ঘরবাড়ি, স্কুল ও মানবিক সহায়তার সকল পথ। পাশাপাশি গাজায় খাদ্য, ওষুধ ও অন্যান্য জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে বাধা সৃষ্টি করে ইসরায়েল মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়িয়ে তুলছে।

বাংলাদেশ সরকার বলছে, ইসরায়েলের এই হামলা আন্তর্জাতিক নিয়ম-নীতি ও মানবাধিকারের সম্পূর্ণ লঙ্ঘন। নিরস্ত্র মানুষের ওপর বিমান হামলা, বোমাবর্ষণ ও গুলি চালিয়ে ইসরায়েল একপ্রকার জাতিগত নির্মূল অভিযান চালাচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে অবিলম্বে ইসরায়েলের এই সামরিক হামলা বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে গাজার মানুষের ওপর নিষ্ঠুরতা বন্ধ, সর্বোচ্চ সংযম প্রদর্শন এবং আন্তর্জাতিক মানবিক আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখানোর আহ্বান জানানো হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, গাজায় যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন, মানবিক সহায়তা পৌঁছানো এবং বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, বিশেষ করে জাতিসংঘের অবিলম্বে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। বাংলাদেশ মনে করে, পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্ত অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা একান্ত জরুরি।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৫০ হাজার ৭০০ জন। আহত হয়েছেন আরও ১ লাখ ১৫ হাজার ৬৩ জন। তবে গাজার সরকারি মিডিয়া অফিসের দাবি, মৃতের সংখ্যা ৬২ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে থাকা বহু মানুষকেও মৃত হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।

বাংলাদেশ মনে করে, আলোচনার মাধ্যমে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং কূটনৈতিক প্রচেষ্টাই পারে এই সংকটের স্থায়ী সমাধান আনতে। তাই গাজার নিরীহ মানুষের জীবন রক্ষায় আন্তর্জাতিক মহলের আরও শক্তিশালী ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।