মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে একটি লক্ষীপেঁচা কাকের আক্রমণ থেকে রক্ষা পেয়েছে। বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে শ্রীমঙ্গলের কলেজ রোডস্থ দেওয়ানবাড়ী মসজিদের একটি গাছে বসে থাকা লক্ষীপেঁচার ওপর হামলে পড়ে একদল কাক। কাকগুলো লক্ষীপেঁচাটিকে ঠোকরিয়ে আহত করে, ফলে পাখিটি গাছ থেকে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে।
এ সময় ওই পথ দিয়ে যাতায়াত করছিলেন এক বৃদ্ধ মুসল্লী নজরুল ইসলাম। মাটি থেকে আহত লক্ষীপেঁচাটি দেখে তিনি তা দ্রুত তুলে পাশের একটি দোকানে নিয়ে আসেন। সেখানে জুনেদ নামের এক ব্যক্তি শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনকে ফোন করে জানালে, সেখান থেকে বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনের পরিচালক স্বপন দেব সজল ও পরিবেশকর্মী রাজদীপ দেব আহত পাখিটিকে উদ্ধার করতে পৌঁছান।
স্বপন দেব সজল জানান, উদ্ধারকৃত লক্ষীপেঁচাটির বৈজ্ঞানিক নাম ‘টয়টো আলবা’। এটি একটি নিশাচর প্রজাতির পেঁচা। লক্ষীপেঁচাটির শরীরে লম্বা পাখনা, ফ্যাকাশে রঙ এবং হৃদয় আকৃতির মুখ এবং বর্গাকৃতির লেজ রয়েছে, যা তাকে অন্য পেঁচা প্রজাতি থেকে আলাদা করে।
পাখিটি উদ্ধার হওয়ার পর, শ্রীমঙ্গল বনবিভাগের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাদের নির্দেশে পাখিটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে এবং প্রয়োজনে পুনরায় প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে।
এ ঘটনার পর, স্থানীয়রা এই ধরনের কার্যক্রমের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা মনে করেন, পাখিদের সুরক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় এ ধরনের উদ্যোগ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এদিকে, বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনও তাদের কর্মকাণ্ডে আরও সচেতনতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। তারা আরও বলেন, এ ধরনের উদ্ধার কাজের মাধ্যমে প্রাকৃতিক জীববৈচিত্র্য রক্ষা করা সম্ভব।
স্থানীয়রা দাবি করেন, কাকের আক্রমণ থেকে লক্ষীপেঁচাটি রক্ষা পাওয়ার ঘটনা এই অঞ্চলে প্রকৃতির প্রতি মানুষের সহানুভূতি ও সচেতনতার প্রকাশ। তারা আশা করছেন, ভবিষ্যতে আরও মানুষ বন্যপ্রাণীর সুরক্ষায় এগিয়ে আসবে।
এছাড়া, এই ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে বন্যপ্রাণী সুরক্ষা সম্পর্কে আরও আলোচনা তৈরি করেছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।