আশাশুনিতে সারের অপ্রতুলতায় বোরো চাষে কৃষকদের দুশ্চিন্তা

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দ দে সদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৪ই জানুয়ারী ২০২৫ ০৬:৫১ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে সারের অপ্রতুলতায় বোরো চাষে কৃষকদের দুশ্চিন্তা

আশাশুনি উপজেলায় বোরো ধান আবাদ এবং মৎস্য ঘের তৈরির মৌসুমে কৃষক ও চিংড়ি চাষিরা ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে চলমান মৌসুমে সারের চাহিদা পূরণ নিয়ে উদ্বেগ বিরাজ করছে। উপজেলার কৃষি জমি ও মৎস্য ঘেরে শ্রমিকরা দিনরাত পরিশ্রম করলেও সারের স্বল্পতা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে।


উপজেলায় বোরো আবাদে ৯ হাজার ৩৩৫ হেক্টর জমি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে আবাদ শেষ হয়েছে। তবে সারের প্রয়োজনীয় সরবরাহ না থাকায় আবাদকারীদের চাহিদা পূরণ কঠিন হয়ে পড়েছে। চলতি জানুয়ারি মাসে ১১ ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত ইউরিয়া ৪২৯ মে. টন, টিএসপি ৩৩ মে. টন, ডিএপি ৮১ মে. টন, এবং এমওপি ৪৫ মে. টন। কিন্তু প্রতি ইউনিয়নে গড়ে পাওয়া সারের পরিমাণ প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।


বুধহাটা ইউনিয়নের ডিলার শোভা এন্টারপ্রাইজ জানায়, জানুয়ারিতে তারা টিএসপি ৬ টন, ডিএপি ১২ টন, এবং এমওপি ০.৫ টন বরাদ্দ পেয়েছে। ৯ ওয়ার্ডে ভাগ করলে সারের পরিমাণ এতটাই কম যে তা চাষের প্রয়োজন মেটাতে ব্যর্থ।


এদিকে উপজেলায় ১৭ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে চিংড়ি ঘের তৈরির কাজ চলছে। মৎস্য ঘেরের জন্য বিঘা প্রতি ইউরিয়া, টিএসপি, এবং পটাশ সারের নির্দিষ্ট চাহিদা থাকলেও ঘের চাষে কোনো সার বরাদ্দ নেই। ডিলাররা জানাচ্ছেন, বাইরে থেকে অতিরিক্ত সার ক্রয় করে চাহিদা পূরণের চেষ্টা করলেও এতে খরচ বেড়ে যাওয়ায় কেজি প্রতি দাম বৃদ্ধি করতে হয়।


উপজেলার কৃষি অফিসার এস এম এনামুল ইসলাম বলেন, "সারের মাসিক বরাদ্দ থাকে, এবং মওজুদ থাকা সার থেকে চাহিদা মেটানো হয়। তবে মৎস্য ঘেরের জন্য আলাদা কোনো বরাদ্দ নেই। আমরা চাষিদের ১৫-২০ দিন পর ঘের প্রসেসিং করার পরামর্শ দিয়েছি।"


চাষি ও সচেতন মহল সারের বরাদ্দ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিশেষত ডিসেম্বর, জানুয়ারি, ও ফেব্রুয়ারি মাসে চাহিদা বাড়ায় এ সময়ে বরাদ্দ বৃদ্ধি করা অত্যন্ত জরুরি।