”মাত্রা, নারীর স্বস্তির যাত্রা”—এই মূলনীতিকে ধারণ করে খাগড়াছড়িতে তৃণমূল পর্যায়ের পিছিয়ে পড়া ও দুর্গম এলাকার নারীদের আত্মনির্ভরশীল করার লক্ষ্যে সেলাই মেশিন, শীতবস্ত্র এবং শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে খাগড়াছড়ি শহরের পুলিশ লাইন্স স্কুলের হলরুমে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে নারীদের মাঝে সেলাই মেশিন, শিক্ষার্থীদের মাঝে ইউনিফর্ম এবং অসহায়দের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ”মাত্রা”র প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ফেরদৌসী পারভীন। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার মাহমুদা বেগম, নারী উদ্যোক্তা ও সমাজকর্মী শাপলা দেবী ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি পুলিশ লাইন্স হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক উত্তম কুমার নাথ।
অনুষ্ঠানে বিনামূল্যে ১২টি সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়, যা দরিদ্র নারীদের আত্মনির্ভরশীল হওয়ার সুযোগ তৈরি করবে। এছাড়াও, ১০০টি শীতার্ত পরিবারের মাঝে শীতবস্ত্র, চম্পাঘাট শিশু সদনের ৩৫ জন অনাথ শিশুর জন্য সারাবছরের শিক্ষা সামগ্রী এবং ৫৩ জন অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীর মাঝে স্কুল ইউনিফর্ম বিতরণ করা হয়।
প্রধান অতিথি মো. সহিদুজ্জামান বলেন, "নারীর উন্নয়ন ছাড়া সমাজের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। ‘মাত্রা’ তৃণমূল পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া নারীদের জন্য যেসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।"
”মাত্রা”র প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ফেরদৌসী পারভীন বলেন, "পাহাড়ি অঞ্চলের দরিদ্র নারীরা পুঁজির অভাবে উদ্যোক্তা হতে পারছে না। তাদের উন্নয়নের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। বিনামূল্যে সেলাই মেশিন, শিক্ষা উপকরণ এবং শীতবস্ত্র বিতরণের মাধ্যমে আমরা তাদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ তৈরি করছি।"
বক্তারা এ উদ্যোগের প্রশংসা করে বলেন, সমাজের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং তাদের পাশে দাঁড়ানোর মনোভাব প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকা প্রয়োজন।
এই মহতী উদ্যোগ পাহাড়ি অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে সকলে আশা প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।