টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সংঘবদ্ধ চুরির ঘটনায় গ্রামীণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। সংঘবদ্ধ চোরেরা খাবারের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে ঘরের দরজা ও আলমারি ভেঙে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকার, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, এবং বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করছে।
খামার শিমলা গ্রামের মৃত মোস্তফা কামালের জামাই শেখ রশিদ অভিযোগ করেন, গত ৫ ডিসেম্বর রাতে খাবারে কিছু মেশানো ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। খাবার খাওয়ার পর কাজের লোকসহ পরিবারের চারজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এর মধ্যে দুইজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে হয়। পরদিন ঘরের দরজা ও আলমারি ভেঙে প্রায় দেড় লাখ টাকা, পৌনে তিন ভরি স্বর্ণালংকার, এবং কিছু মূল্যবান সামগ্রী চুরি হয়ে যায়।
খরুরিয়া গ্রামের আকবর হোসেন জানান, বুধবার রাতে তার ঘরের আলমারি ভেঙে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ও দুই ভরি স্বর্ণালংকার চুরি হয়। একই রাতে তার শ্যালকের দোকানের গ্রিল কেটে চুরির চেষ্টা করা হয়। গ্রামে আরও বেশ কয়েকটি চুরির ঘটনা ঘটেছে, যেখানে দুর্বৃত্তরা নেশাজাতীয় দ্রব্য ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
সংঘবদ্ধ চুরির প্রতিরোধে খরুরিয়া গ্রামের মানবসেবা সংস্থা একটি বৈঠক করে রাতের গ্রাম পাহারার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রতি রাতে ১০ জন করে পাহারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গোপালপুর জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, গত এক মাসে ১২-১৩টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। তিনি গ্রাহকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন।
গোপালপুর থানার ওসি (তদন্ত) মামুন ভূঁইয়া বলেন, “সব অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি, তবে রাতের টহল জোরদার করা হয়েছে। আমি নিজে রাত ২টা পর্যন্ত গ্রামবাসীর সঙ্গে ছিলাম।” তিনি সবাইকে দ্রুত অভিযোগ করার আহ্বান জানান।
গ্রামবাসীরা সংঘবদ্ধ চুরির কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং এর সমাধানে প্রশাসনের আরও জোরালো পদক্ষেপ চান।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।