১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসের ছুটি হিসেবে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। গতকাল (রোববার) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালনে ছুটি কার্যকরের ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এর আগে গত ২ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ১৫ আগস্টের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উপদেষ্টা পরিষদের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনা শেষে ব্যাপক ঐকমত্যের ভিত্তিতে ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়েছে।
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয় এবং দিনটিকে সরকারি ছুটি হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তবে ২০০২ সালে বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার ক্ষমতায় এলে ওই ছুটি বাতিল করা হয়। এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত তিন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
পরে হাইকোর্ট বিএনপি সরকারের ছুটি বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। সেই রায়ের ফলে জাতীয় শোক দিবস পালনের জন্য ১৫ আগস্ট ছুটির সিদ্ধান্ত পুনর্বহাল হয়। তবে সম্প্রতি হাইকোর্টের ওই রায়ের স্থগিতাদেশ চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করলে আপিল বিভাগ তা স্থগিত করেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস হিসেবে স্বীকৃত হলেও রাজনৈতিক ও আইনি অঙ্গনে এ নিয়ে মতবিরোধ দীর্ঘদিনের। আপিল বিভাগের সাম্প্রতিক নির্দেশনা নতুন করে এ বিষয়ে বিতর্ক উসকে দিয়েছে। আগামী দিনের শুনানিতে এই সিদ্ধান্ত কীভাবে প্রভাবিত হয়, তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছে সবাই।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।