স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, যুবলীগ নেতার খুনের ঘটনা গোপালগঞ্জে

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি, গোপালগঞ্জ
প্রকাশিত: বৃহঃস্পতিবার ২৮শে নভেম্বর ২০২৪ ০১:১২ অপরাহ্ন
স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে, যুবলীগ নেতার খুনের ঘটনা গোপালগঞ্জে

গোপালগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি হোটেল কক্ষে এক ব্যবসায়ীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের পাশে পাথালিয়া পিঠা গার্ডেন হোটেল থেকে ৪৫ বছর বয়সী মো. ফেরদাউস শেখের (পেশায় গরুর খামারি) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরিবারের সদস্যরা এই মৃত্যুকে পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড হিসেবে দাবি করছেন।

নিহত ফেরদাউস শেখ টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাশবাড়িয়া পার ঝনঝনিয়া গ্রামের ইমদাদুল হক শেখের ছেলে। তিনি মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গোপালগঞ্জের ওই হোটেলে পৌঁছান। নিহতের ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানান, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ফেরদাউস তাকে ফোন করে জানান, তিনি টুঙ্গিপাড়ার বন্ধুর বাড়িতে আছেন এবং পরে আসবেন। কিন্তু বুধবার সকালে ফেরদাউসের মোবাইলে কল করা হলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর দুপুরে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।

গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান জানান, হোটেল কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, ফেরদাউস শেখ মঙ্গলবার রাতে একটি কক্ষ ভাড়া নেন, তার সঙ্গে এক নারীও ছিলেন। বুধবার সকালে ওই নারী কক্ষ ত্যাগ করে চলে যান, কিন্তু দুপুরের দিকে ফেরদাউসের কক্ষের দরজা বন্ধ দেখে হোটেল কর্মচারীরা ভিতরে প্রবেশ করে তার মৃতদেহ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠায়।

নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ফেরদাউস শেখ হত্যার শিকার হয়েছেন। তার ছোট ভাই মিজানুর রহমান জানান, ফেরদাউস যুবলীগের সম্মেলনে সভাপতি পদপ্রত্যাশী ছিলেন এবং সাম্প্রতিক সময়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়ি বহরে হামলা ও গাড়ি পোড়ানোর মামলায় আসামি হন। পরিবারের দাবি, এই বিষয়টি হত্যার পেছনে একটি কারণ হতে পারে।

পিঠা গার্ডেন হোটেলের মালিক ফারুক আহমেদ জানান, ফেরদাউস ও তার সঙ্গী নারী স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে হোটেলে এসেছিলেন, তবে কীভাবে তার মৃত্যু ঘটেছে তা তারা জানেন না। পুলিশ এ বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে এবং ঘটনার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে।

গোপালগঞ্জের এই রহস্যময় মৃত্যুর ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে তৎপর হলেও, নিহতের পরিবারের দাবি, তাদের প্রিয়জনকে হত্যার শাস্তি দিতে হবে।