দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে তাপমাত্রা কমে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টায় তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানিয়েছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ জানান, গত তিন দিন ধরে তাপমাত্রা ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে তা আরও কমে ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘‘এতে করে শীতের তীব্রতা বেড়েছে এবং আগামী দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।’’
ভোর থেকে তেঁতুলিয়া ও পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে কুয়াশার স্তর ছেড়ে সূর্যের কিছুটা রশ্মি দেখা গেলেও শীতের প্রকোপ তীব্র ছিল। স্থানীয়রা জানান, সূর্যের আলো তাপ সরবরাহ করতে পারলেও কনকনে শীত সহ্য করতে তাদের জন্য কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ সময় শ্রমজীবী মানুষদের কাজ করতে দেখা গেছে, যদিও শীতের কারণে তাদের অনেকেই অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
কৃষকরা বিশেষভাবে শীতের প্রকোপ অনুভব করছেন। স্থানীয় কয়েকজন কৃষক জানিয়েছেন, ভোরে খেতের পাতা বা ফুলকপি, ধনিয়া, লাউ শাক তুলতে গিয়ে গাছের পাতায় জমা শিশিরে বরফের মতো ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এমনকি কিছু কৃষক জানান, শিশিরের ঠান্ডায় তাদের হাত অবশ হয়ে যাচ্ছে, যা তাদের কাজের গতি কমিয়ে দিচ্ছে।
এদিকে, পঞ্চগড়ে শীতকাল শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন এলাকার শ্রমিকদের কাজের সময়ও বেড়েছে, যদিও তীব্র শীতে তাদের কাজের কষ্ট বেড়েছে। বিশেষ করে পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক এবং দিনমজুররা শীত উপেক্ষা করে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য বাধ্য হচ্ছেন।
শীতের তীব্রতা এবং তাপমাত্রার এই পতন এমন একটি সময়ে ঘটছে যখন সারা দেশে শীতের মৌসুম শুরু হতে যাচ্ছে। পঞ্চগড়ের এ পরিস্থিতি দেশটির উত্তরাঞ্চলে শীতের আগমনের নিদর্শন হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা অন্যান্য অঞ্চলেও শীতের প্রকোপ আরও বাড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।