রাজশাহীর দূর্গাপুর উপজেলার শালঘরিয়া গ্রামের ৬২ বিঘা সরকারি জলাশয় দখল নিয়ে স্থানীয় কৃষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি অবৈধভাবে ওই জলাশয় দখল করেছেন এবং মাছ ধরতে গেলে কৃষকদের ওপর নানা ধরনের হুমকি ও ভয়ভিতি দেখানো হচ্ছে। কৃষকরা এই জলাশয়ে মাছ ধরেই নিজেদের আমিষের চাহিদা মেটাতেন, কিন্তু এখন তারা সেখানে প্রবেশ করতে পারছেন না।
জানা যায়, দূর্গাপুর উপজেলার ডাহার বিলের এই জলাশয়টি সরকারি খাস জমি হিসেবে পরিচিত। এ জলাশয়টি প্রায় ৬২ বিঘা বিস্তৃত, যেখানে স্থানীয় কৃষকরা দীর্ঘদিন ধরে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করতেন। তবে এখন ওই জলাশয়টির একাংশ দখল করে ফেলেছেন আফজাল হোসেন, মারফত আলী, তৈয়ব আলী ও রেন্টু নামের স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কোনো ধরনের সরকারি অনুমোদন বা লিজ ছাড়াই এই জলাশয় দখল করেছেন।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, তারা তাদের পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে ঐ জলাশয়ে মাছ ধরার অধিকার পেয়ে আসছেন। কিন্তু বর্তমানে জলাশয়টি দখল হওয়ার পর, মাছ ধরতে গেলে অভিযুক্তরা নানা হুমকি প্রদান করছেন। এর ফলে তাদের জীবন-জীবিকা চরম সংকটে পড়েছে। স্থানীয় কৃষকরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করেছেন, যেন জলাশয়টি আগের মতো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে দূর্গাপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো: আমিরুল ইসলাম জানান, "এই জলাশয়টি ৬ বছরের জন্য কিসমত হোজা মৎসজীবী সমবায় সমিতির নামে লিজ দেওয়া হয়েছে। যদি সেখানে অন্য কেউ অবৈধভাবে দখল করে, তাহলে আমরা তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।"
স্থানীয় কৃষকরা এখন প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন, যাতে তাদের মাছ ধরার পুরনো অধিকার পুনরুদ্ধার করা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু সমাধান না হলে, বৃহত্তর আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তারা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।