ভল্ট থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে , উধাও ক্যাশিয়ার দীপংকর

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি -চাঁদপুর
প্রকাশিত: বুধবার ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১১:১৫ পূর্বাহ্ন
ভল্ট থেকে প্রায় কোটি টাকা নিয়ে , উধাও ক্যাশিয়ার দীপংকর

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অবস্থিত অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষের (৩৮) বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রেক্ষিতে গত সোমবার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।


দীপংকর ঘোষ মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বাসিন্দা, বলাই ঘোষের পুত্র। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৯ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দীপংকর ঘোষ অফিসে উপস্থিত না হলে, শাখা ব্যবস্থাপক তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেন। দীপংকর জানায়, তার বাবা অসুস্থ এবং তিনি ব্যাংকে আসতে দেরি করবেন। 


কিন্তু দিন গড়িয়ে গেলেও দীপংকর অফিসে উপস্থিত হননি, তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া যায়। একপর্যায়ে, দীপংকরের প্রকৃত অবস্থান জানতে তার স্ত্রী আঁখি সাহার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি জানান, দীপংকর দুপুর ১২টার সময় অফিসে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বের হয়েছিলেন। 


দীপংকর অফিসে না আসায় ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি এবং ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রমে বিঘ্ন ঘটে। তার এ আচরণ সন্দেহজনক মনে হওয়ায় ব্যবস্থাপক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন। 


৩০ আগস্ট, পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এবং ব্যাংকের ভল্টে থাকা নগদ টাকার সঠিক হিসাব নিশ্চিত করতে, শাখা ব্যবস্থাপক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন। ১ সেপ্টেম্বর, জিডির ভিত্তিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা-পুলিশের উপস্থিতিতে একটি মিস্ত্রি দিয়ে ভল্ট খোলা হয়। তখন ভল্টে পাওয়া যায় ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা, যা ক্যাশ পজিশন অনুযায়ী হওয়া উচিত ছিল ১ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা। অর্থাৎ, ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়।


তদন্তে জানা যায়, দীপংকর কিছুদিন ধরে একটি কাঁধের ব্যাগ নিয়ে অফিসে আসতেন এবং সেটি নিয়ে অফিস ত্যাগ করতেন। ক্যাশিয়ার হিসেবে তার কাছে ভল্টের চাবি ছিল, যা তাকে সহজেই এই অপকর্ম করার সুযোগ দেয়।


মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন জানান, এ বিষয়ে একটি মামলা হয়েছে, যা তদন্তাধীন রয়েছে। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই অডিট সম্পন্ন করেছেন এবং থানা-পুলিশ ঘটনাটি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করছে।