কোরআন মজিদের ৪০ আয়াতে আল্লাহ ও রাসূলের নাম পাশাপাশি লেখা

নিজস্ব প্রতিবেদক
হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী- বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ
প্রকাশিত: শুক্রবার ২১শে জুন ২০২৪ ০৬:১৫ অপরাহ্ন
কোরআন মজিদের ৪০ আয়াতে আল্লাহ ও রাসূলের নাম পাশাপাশি লেখা

(১) وَمَنۡ يُّطِعِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ يُدۡخِلۡهُ جَنّٰتٍ تَجۡرِىۡ مِنۡ تَحۡتِهَا الۡاَنۡهٰرُ خٰلِدِيۡنَ فِيۡهَا‌

“যে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে, তিনি তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন যেগুলোর তলদেশ দিয়ে স্রোতস্বিনী প্রবাহিত হবে। তারা সেখানে চিরকাল থাকবে।“ (নিসা-১৩)

 (২) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَتَعَدَّ حُدُوۡدَهٗ يُدۡخِلۡهُ نَارًا خَالِدًا فِيۡهَا 

“আর যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে, তাকে তিনি জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন।“ (নিসা-১৪)

 (৩) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡۤا اَطِيۡعُوۡا اللّٰهَ وَاَطِيۡعُوۡا الرَّسُوۡلَ وَاُولِىۡ الۡاَمۡرِ مِنۡكُمۡ‌ۚ

”হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসুলের আনুগত্য করো এবং তোমাদের মধ্যে উলিল আমরেরও।” (নির্দেশ দাতা) (নিসা-৫৯)

(৪) فَاِنۡ تَنَازَعۡتُمۡ فِىۡ شَىۡءٍ فَرُدُّوۡهُ اِلَى اللّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ

”যদি তোমরা কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত গ্রহনে বিবাদে লিপ্ত হও - তাহলে উক্ত বিষয়টির ফায়সালা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের কাছে ন্যাস্ত করো।” (নিসা-৫৯)

(৫) مَنۡ يُّطِعِ الرَّسُوۡلَ فَقَدۡ اَطَاعَ اللّٰهَ‌ۚ

”যে রাসুলের আনুগত্য করে, সে মূলতঃ আল্লাহরই আনুগত্য করলো” (নিসা-৮০)

(৬) يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ آمِنُواْ بِاللّهِ وَرَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِي نَزَّلَ عَلَى رَسُولِهِ وَالْكِتَابِ الَّذِيَ أَنزَلَ مِن قَبْلُ وَمَن يَكْفُرْ بِاللّهِ وَمَلاَئِكَتِهِ وَكُتُبِهِ وَرُسُلِهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ فَقَدْ ضَلَّ ضَلاَلاً بَعِيدًا

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলগণকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলগণের মধ্যে তারতম্য করতে ইচ্ছা করে এবং বলে- আমরা কিছু মানি- কিছু মানিনা এবং আল্লাহ ও রাসুলগণের মধ্যবর্তী তৃতীয় রাস্তা উদ্ভাবন করতে চায়- তারাই পাক্কা কাফের।” (নিসা-১৫০)

(৭) اِنَّمَا جَزٰٓؤُا الَّذِيۡنَ يُحَارِبُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ وَيَسۡعَوۡنَ فِىۡ الۡاَرۡضِ فَسَادًا اَنۡ يُّقَتَّلُوۡۤا اَوۡ يُصَلَّبُوۡۤا

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের বিরূদ্ধে সংগ্রাম করে এবং জমীনে ফাছাদ সৃষ্টি করতে সচেষ্ট হয়, তাদের একমাত্র শাস্তি হচ্ছে কতল করা অথবা ফাঁসিতে চড়ানো।” (মায়েদা-৩৩)

(৮) قُلِ الۡاَنۡفَالُ لِلّٰهِ وَالرَّسُوۡلِ‌ۚ

”বলুন হে প্রিয় হাবীব! যুদ্ধেপ্রাপ্ত সম্পদের মালিক হচ্ছেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল [ﷺ]।” (আন্-ফাল-১)

(৯) وَمَنۡ يُّشَاقِقِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاِنَّ اللّٰهَ شَدِيۡدُ الۡعِقَابِ‏

”যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়, নিঃসন্দেহে (তাদের জন্য) আল্লাহর শাস্তি অতি কঠোর।” (আনফাল-১৩)

(১০) فَاضۡرِبُوۡا فَوۡقَ الۡاَعۡنَاقِ وَاضۡرِبُوۡا مِنۡهُمۡ كُلَّ بَنَانٍؕ‏ ذٰلِكَ بِاَنَّهُمۡ شَآقُّوۡا اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ‌

”হে ফেরেশতাগণ, তোমরা বদরের যুদ্ধে কোরাইশ কাফিরদের গর্দানের শাহ্নগে এবং তাদের শরীরের জোড়ায় জোড়ায় আঘাত হানো। কেননা, তারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হয়ে গেছে।” (আনফাল-১৩)

(১১) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا اسۡتَجِيۡبُوۡا لِلّٰهِ وَلِلرَّسُوۡلِ اِذَا دَعَاكُمۡ

”হে মো’মেনগণ, তোমরা আল্লাহ-রাসুলের ডাকে সাড়া দাও - যখনই রাসুল তোমাদেরকে ডাকেন।” (আন্-ফাল-২৪)

 (১২) وَاعۡلَمُوۡۤا اَنَّمَا غَنِمۡتُمۡ مِّنۡ شَىۡءٍ فَاَنَّ لِلّٰهِ خُمُسَهٗ وَلِلرَّسُوۡلِ

”হে মো’মেনগণ! জেনে নাও- তোমরা গণিমতের মাল হিসাবে যা কিছু পেয়েছো- তার পঞ্চমাংশের খাস মালিক হচ্ছেন আল্লাহও তাঁর রাসুল।” (আন্-ফাল-৪১)

 (১৩) بَرَآءَةٌ مِّنَ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖۤ اِلَى الَّذِيۡنَ عٰهَدتُّمۡ مِّنَ الۡمُشۡرِكِيۡنَ

”আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো মুশরিকদের সাথে।” (তাওবা-১)

(১৪) وَأَذَانٌ مِّنَ اللّهِ وَرَسُولِهِ إِلَى النَّاسِ يَوْمَ الْحَجِّ الأَكْبَرِ أَنَّ اللّهَ بَرِيءٌ مِّنَ الْمُشْرِكِينَ وَرَسُولُهُ

”আর হজ্বে আকবরের দিনে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের পক্ষ হতে এই ঘোষণা করা হলো যে, আল্লাহ এবং তাঁর রাসুল [ﷺ] মুশরিকদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন।” (তওবা-৩)

(১৫) وَلَمۡ يَتَّخِذُوۡا مِنۡ دُوۡنِ اللّٰهِ وَلَا رَسُوۡلِهٖ وَلَا الۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلِيۡجَةً‌ؕ

”যারা আল্লাহ্, তাঁর রাসুল ও মো’মেনগণ ব্যতিত অন্য কাউকে অন্তরঙ্গ বন্ধু হিসাবে গ্রহণ করা থেকে বিরত না রয়েছে”- (সেসব মুনাফিকদেরকে এমনিতে ছেড়ে দেয়া হবে না)। (তওবা-১৬)

(১৬) وَلَا يُحَرِّمُوۡنَ مَا حَرَّمَ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ 

(”যুদ্ধ করো তাদের বিরুদ্ধে)- যারা হারাম মনে করেনা ঐ জিনিসকে- যা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল [ﷺ] হারাম ঘোষনা করেছেন” (তাওবা-২৯)।

(১৭) وَمَا مَنَعَهُمۡ اَنۡ تُقۡبَلَ مِنۡهُمۡ نَفَقٰتُهُمۡ اِلَّاۤ اَنَّهُمۡ كَفَرُوۡا بِاللّٰهِ وَبِرَسُوۡلِهٖ

”মুনাফিকদের দান কবুল না হওয়ার একমাত্র কারণ হলো- তারা আল্লাহও তার রাসুলকে অস্বীকার করছে।” (তাওবা-৫৪)

 (১৮) وَلَوۡ اَنَّهُمۡ رَضُوۡا مَاۤ اٰتٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۙ

”কতই না ভাল হতো- যদি মুনাফিকরা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল প্রদত্ত্ব গণিমতের সম্পদে রাযী থাকতো”’। (তাওবা-৫৯)

 (১৯) وَقَالُوۡا حَسۡبُنَا اللّٰهُ سَيُؤۡتِيۡنَا اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ وَرَسُوۡلُهٗ 

(আর মুনাফিকরা যা পেয়েছে, তাতে সন্তুষ্ট থেকে)- ”যদি তারা বলতো-আল্লাহ ও তাঁর রাসুল আপন অনুগ্রহে যা দিয়েছেন- এটাই আমাদের জন্য যথেষ্ট- তাহলে কতই না ভাল হতো।” (তাওবা-৫৯)

(২০) وَاللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَحَقُّ اَنۡ يُّرۡضُوۡهُ اِنۡ كَانُوۡا مُؤۡمِنِيۡنَ

”আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুলকে রাজী রাখাই অত্যাবশ্যক - যদি তার মো’মেন হয়ে থাকে।” (তাওবা-৬২)

 (২১) اَلَمۡ يَعۡلَمُوۡۤا اَنَّهٗ مَنۡ يُّحَادِدِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَاَنَّ لَهٗ نَارَ جَهَنَّمَ خٰلِدًا فِيۡهَا‌ؕ

”তারা কি একথা অবগত নয় যে, যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের সাথে শত্রুতা করেছে- তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আগুন।” (তাওবা-৬৩)

 (২২) اَغۡنٰٮهُمُ اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ مِنۡ فَضۡلِهٖ‌ۚ

”আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুল আপন অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী বানিয়েছে।” (তাওবা-৭৪)

 (২৩) وَاِذَا دُعُوۡۤا اِلَى اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ لِيَحۡكُمَ بَيۡنَهُمۡ اِذَا فَرِيۡقٌ مِّنۡهُمۡ مُّعۡرِضُوۡنَ

”যখন আল্লাহ ও তাঁর রাসুল মোনাফিকদেরকে আহবান করেন তাদের মধ্যে ফায়সালা করে দিতে, তখন তাদের একটি দল মুখ ফিরিয়ে নেয়।” (ছুরা নূর-৪৮)

 (২৪) أَفِي قُلُوبِهِم مَّرَضٌ أَمِ ارْتَابُوا أَمْ يَخَافُونَ أَن يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْهِمْ وَرَسُولُهُ 

“মুনাফিকরা কি ভয় পায় যে, আল্লাহ ও তাঁর রাসুল তাদের প্রতি অবিচার করবে?” (নূর-৫০)

 (২৫) اِنَّمَا الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ 

“প্রকৃত মুমিনতো তারাই- যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান এনেছে।“ (নূর-৬২)।

 (২৬) وَلَمَّا رَاَ الۡمُؤۡمِنُوۡنَ الۡاَحۡزَابَۙ قَالُوۡا هٰذَا مَا وَعَدَنَا اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗ 

(খন্দকের যুদ্ধে শত্রুসৈন্য দেখে সাহাবীগণ বলে উঠলেন) - “এরই তো আমাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল।” (আহযাব-২২)

 (২৭) وَصَدَقَ اللَّهُ وَرَسُولُهُ وَمَا زَادَهُمْ إِلَّا إِيمَانًا وَتَسْلِيمًا 

(সাহাবীগণ আরো বললেন) - “আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সত্য বলেছেন। এতে তাদের ঈমান ও আত্মসমর্পনের মনোভাব আরো বৃদ্ধি পেলো।” (আহযাব-২২)

 (২৮) وَإِن كُنتُنَّ تُرِدْنَ اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَالدَّارَ الْآخِرَةَ فَإِنَّ اللَّهَ أَعَدَّ لِلْمُحْسِنَاتِ مِنكُنَّ أَجْرًا عَظِيمًا

 “হে নবীপত্নীগণ, তোমরা যদি ভোগবিলাস ত্যাগ করে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল এবং আখেরাতকে প্রাধান্য দাও, তাহলে তোমাদের পূতঃ পবিত্রজনদের জন্য আল্লাহ্ তায়ালা বিরাট পুরস্কার তৈরী করে রেখেছেন।” (আহযাব-২৯)

 (২৯) وَمَن يَقْنُتْ مِنكُنَّ لِلَّهِ وَرَسُولِهِ وَتَعْمَلْ صَالِحًا نُّؤْتِهَا أَجْرَهَا مَرَّتَيْنِ وَأَعْتَدْنَا لَهَا رِزْقًا كَرِيمًا

“হে ঃপত্নীগণ, তোমাদের মধ্যে যিনি আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের অনুগত হবে এবং নেক আমল করবে, আমি তাঁকে ডাবল পুরস্কার দেবো।” (আহযাব-৩১)

 (৩০) وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٍ وَّلَا مُؤۡمِنَةٍ اِذَا قَضَى اللّٰهُ وَرَسُوۡلُهٗۤ اَمۡرًا اَنۡ يَّكُوۡنَ لَهُمُ الۡخِيَرَةُ مِنۡ اَمۡرِهِمۡؕ 

“কোন বিষয়ে আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুল নির্দেশ দেয়ার পর ঐ বিষয়ে কোন ঈমানদার পুরুষ এবং কোন ঈমানদার নারীর ভিন্নমত পোষণ করার অধিকার নেই।” (আহযাব-৩৬)

(যায়েদ ইবনে হারেছার (رضي الله عنه) সাথে বিবি যয়নব (رضي الله عنه) এর বিবাহের ব্যাপারে তাঁর ভাই আবদুল্লাহর আপত্তি সম্পর্কে এই উক্তি)।

 (৩১) وَمَنۡ يَّعۡصِ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلٰلاً مُّبِيۡنًاؕ‏ 

“আর যারা আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের অবাধ্য হবে- তারা স্পষ্ট গোমরাহীর মধ্যে পতিত হয়ে গিয়েছে।” (আহযাব-৩৬)

 (৩২) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُؤۡذُوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ لَعَنَهُمُ اللّٰهُ فِىۡ الدُّنۡيَا وَالۡاٰخِرَةِ 

“যারা আল্লাহ্ ও তাঁর প্রিয় রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদেরকে দুনিয়া ও পরকালে লা’নত করবেন বা অভিশপ্ত করবেন।” (আহযাব-৫৭)

 (৩৩) إِنَّا أَرْسَلْنَاكَ شَاهِدًا وَمُبَشِّرًا وَنَذِيرًا - لِتُؤْمِنُوا بِاللَّهِ وَرَسُولِهِ وَتُعَزِّرُوهُ وَتُوَقِّرُوهُ وَتُسَبِّحُوهُ بُكْرَةً وَأَصِيلًا 

“হে প্রিয় রাসুল, আমি আপনাকে চাক্ষুস স্বাক্ষী (হাযির-নাযির), জান্নাতের সুসংবাদদাতা ও জাহান্নামের ভীতি প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়ে প্রেরণ করেছি - যাতে তোমরা (মানুষ) আল্লাহ্ ও তাঁর রাসুলের প্রতি ঈমান আন, রাসুলকে সাহায্য করো, তাঁকে উচ্চমানের সম্মান প্রদর্শন করো এবং সকাল সন্ধ্যায় আল্লাহর সালাত পাঠ করো।” (আল-ফাত্হঃ ৮-৯)

 (৩৪) يٰۤاَيُّهَا الَّذِيۡنَ اٰمَنُوۡا لَا تُقَدِّمُوۡا بَيۡنَ يَدَىِ اللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ‌ 

“হে ঈমানদারগণ, তোমরা আল্লাহ্ রাসুলের সামনে আগ বাড়িয়ে কিছু করোনা।” (হুজুরাত-১)

 (৩৫) اٰمِنُوۡا بِاللّٰهِ وَرَسُوۡلِهٖ وَاَنۡفِقُوۡا مِمَّا جَعَلَكُمۡ مُّسۡتَخۡلَفِيۡنَ فِيۡهِ‌ؕ 

“তোমরা ঈমান আনো আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের উপর- আর ব্যয় কর ঐ সম্পদ থেকে- আল্লাহ যার উত্তরাধিকারী করেছেন তোমাদেরকে।” (ছুরা হাদীদ-৭) 

(৩৬) وَمَا لَكُمۡ لَا تُؤۡمِنُوۡنَ بِاللّٰهِ‌ۚ وَالرَّسُوۡلُ يَدۡعُوۡكُمۡ لِتُؤۡمِنُوۡا بِرَبِّكُمۡ 

“তোমাদের কি হলো যে, তোমরা আল্লাহর ওপর বিশ্বাস স্থাপন করছোনা? - অথচ রাসুল [ﷺ] তোমাদেরকে আহবান জানাচ্ছেন - যাতে তোমরা তোমাদের রবের প্রতি ঈমান আন।” (হাদীদ-৮)

 (৩৭) وَالَّذِينَ آمَنُوا بِاللَّهِ وَرُسُلِهِ أُوْلَئِكَ هُمُ الصِّدِّيقُونَ وَالشُّهَدَاء عِندَ رَبِّهِمْ

“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের উপর ঈমান এনেছে, তারাইতো আল্লাহর নিকট সিদ্দিক ও শহীদ বলে গণ্য।” (হাদীদ-১৯)

 (৩৮) اِنَّ الَّذِيۡنَ يُحَآدُّوۡنَ اللّٰهَ وَرَسُوۡلَهٗ كُبِتُوۡا 

“যারা আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধাচারণ করে- তারা অপদস্ত হয়েছে।” (মুজদালাহ-৫)

 (৩৯) لَا تَجِدُ قَوْمًا يُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآخِرِ يُوَادُّونَ مَنْ حَادَّ اللَّهَ وَرَسُولَهُ

 “হে প্রিয় রাসুল, যারা আল্লাহ ও পরকালে বিশ্বাসী - এমন কাউকে আপনি আল্লাহ ও তাঁর প্রিয় রাসুলের বিরুদ্ধাচরণকারীর সাথে বন্ধুত্ব স্থাপনকারীরূপে পাবেননা।” (মুজাদালাহ-২২, তাঁদের উপাধী রাদিয়াল্লাহু আনহু)

 (৪০) وَلِلّٰهِ الۡعِزَّةُ وَلِرَسُوۡلِهٖ وَلِلۡمُؤۡمِنِيۡنَ وَلٰكِنَّ الۡمُنٰفِقِيۡنَ لَا يَعۡلَمُوۡنَ 

“শক্তি ও সম্মান তো আল্লাহ ও রাসুলের এবং মোমিনদের প্রাপ্য - কিন্তু মুনাফিকরা তার ভেদ জানেনা।” (ছুরা মুনাফিকুন-৮)


নোটঃ ‘আল্লাহ ও রাসুলের নাম একসাথে পাশাপাশি’- এর প্রমাণস্বরূপ কোরআন মজিদ থেকে মাত্র ৪০টি আয়াত উল্লেখ করা হলো। কোরআনের সর্বত্র আল্লাহ-রাসুলের নাম একসাথে এসেছে। খোদ ঈমানী কালেমায় “আল্লাহ ও মুহাম্মদ” নাম একসাথে পাশাপাশি রয়েছে। এর মধ্যখানে “এবং” অব্যয়টি নেই। এতেই বুঝা যায়-আল্লাহ-রাসুল কত ঘনিষ্ট।j


কি সাধ্য আছে মোর-গাইতে নবীর গান

কলম মোর ধন্য হলো-লিখে নবীর শান।


লেখক:- বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী, সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।