বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫৮ কার্তিক, ১৪৩২
logo
ENকনভার্টার
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
    • বিশ্বকাপ
    • ক্রিকেট
    • ফুটবল
    • অন্যান্য খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
    • আইন-আদালত
    • সাহিত্য
    • প্রবাস জীবন
    • কৃষি
    • বাংলাদেশে করোনা
    • গনমাধ্যম
    • আবহাওয়া
    • জাতীয় সংসদ নির্বাচন
    • ভাইরাল টপিক
    • অর্থনীতি
    • ব্যবসা ও বাণিজ্য
    • বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
    • অপরাধ
    • স্বাস্থ্য
    • ধর্ম
    • বন্যা পরিস্থিতি
    • জনদুর্ভোগ
    • প্রতিবেশী
    • পর্যটন
    • মজার খবর
    • শিক্ষা
    • শেয়ার বাজার
    • চাকুরী
    • লাইফস্টাইল
অনুসন্ধান
logo
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
logo
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • আন্তর্জাতিক
  • বিনোদন
  • সম্পাদকীয়
  • খেলাধুলা
  • বাংলাদেশ
  • বিবিধ খবর
  • বিশেষ প্রতিবেদন
  • অন্যান্য
  • অনুসন্ধান করুন
  • সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা
Logo

সম্পাদক : মোঃ শওকত হায়দার (জিকো)

প্রকাশক : ইনিউজ৭১ মিডিয়া লিমিটেড

হাউজ: নাম্বার ৫৫ , দ্বিতীয় তলা, রোড নাম্বার ৬/এ , সেক্টর - ১২ উত্তরা, ঢাকা - ১২৩০ ।

ফোন: +880 258 053 897, ইমেইল: [email protected] , [email protected]

গোপনীয়তার নীতি

ব্যবহারের শর্তাবলি

যোগাযোগ

আমাদের সম্পর্কে

আমরা

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

স্বত্ব © ইনিউজ৭১.কম

ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

ধর্ম

আরাফার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Ziaul Hoque
জিয়াউল হক, নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১৩ জুন ২০২৪, ০:২৩

শেয়ার করুনঃ
আরাফার দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য
জিলহজ মাস
https://enews71.com/storage/ads/01JR36BQSKCPE69WB8Z3TARXE3.jpg

সোশ্যাল মিডিয়াতে আমরা

https://enews71.com/storage/ads/01JR3CX28Y9BM01PRE4TXCNDWF.jpg

জিলহজ মাসের ৯ তারিখ সূর্যোদয়ের পর থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফাহ ময়দানে চিহ্নিত সীমানার মধ্যে অবস্থান করা হজ এর প্রধান রুকন বা ইয়াওমে আরাফা অর্থাৎ হাজীদের আরাফার ময়দানে অবস্থানের দিন। এই দিনকেই আরাফার দিন বলা হয়।

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলমানরা এ দিন আরাফাতের ময়দানে সমবেত হন। আরাফার দিন এর ফজিলত ও তাৎপর্য অপরিসীম। এ দিন মুসলমানদের জন্য ঈদের দিন, আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমত এবং গুনাহ থেকে পরিত্রাণের দিন হিসেবে ঘোষণ দেয়া হয়েছে।

আরও

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক লাখ সেনা মোতায়েন: ইসি সচিব

নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় এক লাখ সেনা মোতায়েন: ইসি সচিব

আরাফা শব্দের অর্থ 

আরাফাত শব্দটি আরবি। ‘আরাফাহ’ শব্দের অর্থ হলো চেনা, জানা, পরিচয় লাভ করা, অবহিত হওয়া, স্বীকার করা, স্বীকৃতি দান করা ইত্যাদি। হজরত আদম (আ.) এবং হাওয়া (আ.) জান্নাত থেকে পৃথিবীতে আগমনের সময় দুজন পৃথক দুই স্থানে অবতরণ করেছিলেন। দীর্ঘদিন পর এই দিনে আরাফার পাহাড়ের কাছে তাদের পরস্পরের পরিচয় হয়। এ থেকেই ‘আরাফা’ শব্দের উৎপত্তি।

আরও

সাব-জেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত: আইজি প্রিজন

সাব-জেলে ১৫ সেনা কর্মকর্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত: আইজি প্রিজন

আরাফা ময়দানের অবস্থান 

মক্কা থেকে ১৫ মাইল পূর্বে তাইফের পথে অবস্থিত এক মরু ময়দানের নাম ‘আরাফাত’। আরাফাতের ময়দান পবিত্র মক্কা নগরী পূর্বে জাবালে রহমতের পাদদেশে হেরেমের সীমানার বাইরে অবস্থিত। তা দৈর্ঘ্যে দুই কিলোমিটার এবং প্রস্থেও দুই কিলোমিটার। তা তিন দিক দিয়ে পাহাড়বেষ্টিত। এর দক্ষিণ পাশ ঘেঁষে রয়েছে মক্কা হাদাহ তায়েফ রিং রোড। এ সড়কের দক্ষিণ পাশে আবেদি উপত্যকায় রয়েছে মক্কা নগরীর সুপ্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান উম্মুল কুরা বিশ্ববিদ্যালয়। উত্তরে রয়েছে সাদ পাহাড়।বছরের অধিকাংশ সময় এই স্থানে লোক সমাগম হয় না। জিলহজ মাসের ৯ তারিখ হজের দিন হজযাত্রীরা মিনা থেকে এখানে উপস্থিত হন। আরাফাতে অবস্থান হজের অন্যতম ফরয এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এসময় এখানে খুতবা পড়া হয় এবং যোহর ও আসরের নামাজ একত্রে পড়া হয়। সন্ধ্যায় হজযাত্রীরা আরাফাত ছেড়ে মুজদালিফার উদ্দেশ্যে রওনা হন।

আরাফা দিবসের মর্যাদা

আরাফাহ দিবস হল এক মর্যাদাসম্পন্ন দিন। এ দিনটি অন্যান্য অনেক ফজিলত সম্পন্ন দিনের চেয়ে বেশি মর্যাদার অধিকারী। এই দিনটি হজ আদায়ের জন্য যারা আরাফার ময়দানে যারা উপস্থিত হয়েছেন এবং যারা উপস্থিত হননি-সকল মুসলিমদের জন্যই একটি মর্যাদাপূর্ণ দিন। কারণ এই দিনে বিশ্বমুসলিমের প্রতি আল্লাহ তা’য়ালা তার নিয়ামত ইসলাম ধর্মকে পরিপূর্ণ ঘোষণা করেন।

মহান আল্লাহ বলেছেন,

اَلْيَوْمَ اَكْمَلْتُ لَكُمْ دِيْنَكُمْ وَاَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِيْ وَرَضِيْتُ لَكُمُ الْاِسْلَامَ دِيْنًاۗ فَمَنِ اضْطُرَّ فِيْ مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّاِثْمٍۙ فَاِنَّ اللّٰهَ غَفُوْرٌ رَّحِيْمٌ ( المائدة: ٣ )

আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম। সূরা আল মায়িদা: ০৩

ইহুদীরা উমর (রা.) কে বললো যে, আপনারা এমন একটি আয়াত তিলাওয়াত করে থাকেন যে, যদি সেই আয়াতটি আমাদের উপর নাযিল হতো তাহলে আমরা সেই দিনটিকে ঈদ হিসেবে উদযাপন করতাম। উমর রা. এ কথা শুনে বললেন, আমি জানি কখন তা অবতীর্ণ হয়েছে, কোথায় তা অবতীর্ণ হয়েছে, আর অবতীর্ণ হওয়ার সময় রাসূল (সা.) কোথায় ছিলেন। হ্যা, সেই দিনটি হল আরাফার দিবস। আল্লাহর শপথ! আমরা সেদিন আরাফার ময়দানে ছিলাম। আর আয়াতটি হলো, “আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ করলাম এবং তোমাদের প্রতি আমার অনুগ্রহ সম্পূর্ণ করলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জীবন বিধান হিসেবে মনোনীত করলাম”। সহিহ বুখারী: ৪৬০৬

আরাফার দিন অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ দিন

আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদেরকে গোনাহমুক্ত হওয়ার জন্য যে সমস্ত দিবস দান করেছেন, সে সমস্ত দিনগুলোর মধ্যে ইয়াওমে আরাফা অন্যতম একটি দিন। আরাফাত দিবস অত্যন্ত মহিমান্বিত ও মর্যাদাপূর্ণ একটি দিন। আল্লাহতায়ালা বলেন,

وَ شَاهِدٍ وَّ مَشۡهُوۡدٍ ؕ۳ আর কসম সাক্ষ্যদাতার এবং যার ব্যাপারে সাক্ষ্য দেওয়া হবে তার। (সুরা বুরুজ : ৩)। ওই আয়াতে এই দিনকে مَشْهُود (মাশহুদ) বলা হয়েছে এবং এর কসম খাওয়া হয়েছে। প্রিয় নবীজি (সা.) مَشْهُود (মাশহুদ) কে আরাফাতের দিন হিসেবে চিহ্নিত করেছেন (তিরমিজি)।

আরাফার দিনটি ইসলামে এত মর্যাদাপূর্ণ যে, রাসুলুল্লাহ (সা.) এটাকে ঈদের দিন হিসেবে উল্লেখ করেছেন। হযরত উকবাহ বিন আমের (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আরাফাতের দিন, কোরবানির দিন এবং তাশরিকের দিনগুলো হচ্ছে ইসলামে আমাদের ঈদের দিন। এ দিনগুলো হচ্ছে পানাহারের দিন। (সুনান আবু দাউদ : ২৪২১)।

আরাফার ময়দান ক্ষমা পাওয়ার ময়দান হিসেবেও পরিচিত। শূন্য মস্তকে সেলাইবিহীন বস্ত্র পরিহিত লাখো লাখো আল্লাহ প্রেমিকের কান্নার আওয়াজ এদিন আকাশে-বাতাসে প্রতিধ্বনিত হয়ে ওঠে। লাব্বাইকা, লাব্বাইকা আল্লাহুম্মা লাব্বাইক- ‘হে প্রভু! বান্দা হাজির, বান্দা হাজির’ বলে আল্লাহর ঘরে হাজিরাদানকারী আল্লাহপ্রেমিকরা এদিন আরাফাতের ময়দানে সমবেত হয়ে চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে রাববুল আলামিনের দরবারে কাতর হয়ে ফরিয়াদ জানান। দশম হিজরি সনে এই ময়দানে প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মাদ (সা.) হজ উপলক্ষে তাঁর শেষ ভাষণ দিয়েছিলেন। ইসলামের ইতিহাসে যা বিদায় হজের ভাষণ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

আরাফা দিবসের রোজা দু বছরের কাফ্‌ফারা

সাহাবী আবু কাতাদাহ রা. থেকে বর্ণিত যে রাসূলুল্লাহ (সা.)-কে আরাফাহ দিবসের সওম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ইহা বিগত ও আগত বছরের গুনাহের কাফ্‌ফারা হিসেবে গ্রহণ করা হয়ে থাকে। সহিহ মুসলিমঃ ১১৬৩

আরাফার দিন জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের দিন 

হজ্জ আদায়ে যারা মক্কায় অবস্থিত তারা মীনা থেকে এসে আরাফাতের সীমায় অবস্থান করবে। ৯ই জিলহজ্জ সূর্যোদয়ের পর হাজীগন মীনা হতে আরাফার দিকে রওয়ানা দিবেন এবং সূর্য ঢলা পর্যন্ত নামীরা নামক ময়দানে অবস্থান করাটা সুন্নাত, যদি তা সহজসাধ্য হয়। যেখানেই অবস্থান করুন কিবলামুখী হয়ে বসবেন। সম্ভব হলে জাবালে রাহমাত নামক পর্বতকে সামনে রেখে কিবলামুখী হয়ে বসবেন।

এই দিনে মহান আল্লাহ স্বীয় বান্দাদের জন্য তাঁর অনুগ্রহের দ্বার খুলে দেন। ফেরেশতাদের নিকট বান্দাদের আনুগত্য ও নিজের গৌরব প্রকাশ করেন। এই দিনে বেশি সংখ্যক লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্ত করেন।

তাই এই স্থানে আমাদের করণীয় আল্লাহ তা’আলার যিকর, হাত তুলে কান্না-কাটি করে দু’আ করা নিজের জন্য, পিতা-মাতা, পুত্র কন্যা, আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধব সবার জন্য, নিজেদের সর্বপ্রকার পাপ এবং ভুল-ত্রুটি হতে তাওবাহ ইসতিগফারের মাধ্যমে শয়তানকে হেয় ও উদ্বিগ্ন করে তোলা। সূর্যাস্ত পূর্ব পর্যন্ত এইভাবে আল্লাহর কাছে ধরনা দিতে হবে। সূর্যাস্তের পর মুযদালিফার দিকে রওয়ানা দিতে হবে। এ সময় বেশি করে তালবিয়া পড়তে হবে যেহেতু রাসূল (সা.) করেছেন।

এছাড়া লাব্বাইকা উচ্চারণ সহ কুর’আনের তিলাওয়াত করাও উত্তম।

এই আরাফাতে অবস্থানই হজের মূল কাজ। রাসূল (সা.) বলেছেন-আমি এবং নবীগণ কর্তৃক উচ্চারিত শ্রেষ্ঠতম কথা হচ্ছে: লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ইউহয়ী ওয়া ইয়ূমীতু ওয়াহুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর। সহিহ আল বুখারী, মুসলিম

এই দু’আটি বেশি বেশি পড়া সুন্নাত, এর অর্থ হলো-

“আল্লাহ ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি একক, তাঁর কোন শরীক নেই। সমস্ত রাজত্ব একমাত্র তাঁরই অধিকারভুক্ত। সমস্ত প্রশংসা একমাত্র তাঁর প্রাপ্য। তিনিই জীবিত করেন, তিনি মৃত্যু প্রদান করেন। আর তিনি সব বস্তুর উপর সর্বশক্তিমান।“

রাসূল (সা.) আরও বলেছেন-

আল্লাহর নিকট চারটি কালাম সর্বাধিক প্রিয়। তা হচ্ছে, সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ এবং আল্লাহু আকবার।

দু’আগুলো অন্তরে ভয়-ভীতি এবং নরম দিলে খুব বেশি করে মনোযোগ সহকারে পাঠ করতে হবে। রাসূল (সা.) দু’আগুলো তিনবার করে পড়তেন।

আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, আরাফার দিন আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের এত অধিক সংখ্যক জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন যা অন্য দিনে দেন না। তিনি এ দিনে বান্দাদের নিকটবর্তী হন ও তাদের নিয়ে ফেরেশতাদের কাছে গর্ব করে বলেন, তোমরা কি বলতে পার আমার এ বান্দাগণ আমার কাছে কি চায় ? সহিহ মুসলিম-১৩৪৮

https://enews71.com/storage/ads/01JQ184AJV9F0T856X9BBSG85X.gif

আরাফায় করণীয়

সারাবিশ্ব থেকে আগত আল্লাহর মেহমানরা আরাফাতের ময়দানের বিশ্ব মুসলিম সম্মিলনে একত্রিত হয়। এ দিনে আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি মানুষের গুনাহ ক্ষমা করে নিষ্পাপ করে দেন। এ দিন ও হজ সম্পর্কে নবিজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘আলহাজ্জু আরাফাহ’ অর্থাৎ আরাফাই হজ। ৯ জিলহজ হজযাত্রীদের জন্য রয়েছে কিছু করণীয়। তাহলো-

১. এ দিন ফজরের নামাজের পর যে যেখানে থাকবে সেখানে থাকা অবস্থায়ই তাকবিরে তাশরিক পড়া। তাকবিরে তাশরিক ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত পড়া ওয়াজিব।

তাকবিরে তাশরিক হলো-

اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ

উচ্চারণ : ‘আল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবর, আল্লাহু আকবর, ওয়ালিল্লাহিল হামদ্।’

অর্থ : ‘আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ মহান, আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই; সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, আল্লাহ মহান।’

২. তাকবিরে তাশরিক পড়ার পর তালবিয়া পড়া। পুরো তালবিয়াকে ৪ ভাগে (নিঃশ্বাসে) ৩ বার পাঠ করা-

তালবিয়া হলো-

لَبَّيْكَ اَللّهُمَّ لَبَّيْكَ - لَبَّيْكَ لاَ شَرِيْكَ لَكَ لَبَّيْكَ - اِنَّ الْحَمْدَ وَالنِّعْمَةَ لَكَ وَالْمُلْكَ - لاَ شَرِيْكَ لَكَ

উচ্চারণ : লাব্বাইকা আল্লা-হুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক, ইন্নাল হামদা ওয়ান্‌নিমাতা লাকা ওয়ালমুল্‌ক, লা শারিকা লাক।

অর্থ :‘ আমি হাজির, হে আল্লাহ! আমি উপস্থিত! আপনার ডাকে সাড়া দিতে আমি হাজির। আপনার কোনো অংশীদার নেই। নিঃসন্দেহে সব প্রশংসা ও সম্পদরাজি তথা নেয়ামত আপনার এবং একচ্ছত্র আধিপত্যও আপনার। আপনার কোনো অংশীদার নেই ‘

৩. জিলহজের ৯ তারিখ সূর্য ওঠার পর তাকবিরে তাশরিক, তালবিয়া, দোয়া এবং তাসবিহ-তাকবির পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দানের দিকে রওয়ানা হওয়া।

৪. অবশ্যই জোহরের আগে আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হওয়া।

৫. আরাফাতের ময়দানে জাবালে রহমতের কাছাকাছি অবস্থান করা উত্তম।

৬. জোহর ও আসরের নামাজ আরাফাতের ময়দান সংলগ্ন মসজিদে নামিরায় এক সঙ্গে জামাতে নিদিষ্ট শর্তানুসারে আদায় করা ‍উত্তম।

৭. মসজিদে নামিরায় অনুষ্ঠিত জামাতে শরিক হতে না পারলে নিজ নিজ তাবুতে যথাসময়ে জোহর ও আসর নামাজ পড়ে নেওয়া।

৮. মসজিদে নামিরার দক্ষিণ দিকে অবস্থিত ‘বতনে উরানায়’ অবস্থান করা যাবে না।

৯. আরাফাতের ময়দানে অবস্থানকালীন সময়ে তাওবা-ইসতেগফার, তাসবিহ-তাহলিল-তাকবির ও দোয়ার মাধ্যমে সময় অতিবাহিত করা। কেননা আরাফাতের ময়দানের দোয়াই আল্লাহ তাআলা সবচেয়ে বেশি কবুল করেন।

১০. দুপুরের আগেই সম্ভব হলে আরাফাতের ময়দানে গোসল করে নেওয়া। অন্যথায় ওজু করে নেওয়া।

১১. হজের খুতবা মনোযোগ সহকারে শোনা।

১২. সূর্য ডোবা পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা। তবে কেউ যদি সূর্য ডোবার আগে আরাফাতের ময়দান থেকে বের হয়ে যায়, তবে তার কর্তব্য হলো তিনি পুনরায় আরাফাতের ময়দানে ফিরে আসবেন এবং সূর্য ডোবার পর আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করবেন। ফিরে না আসলে ওই ব্যক্তি জন্য দম বা কোরবানি আবশ্যক হয়ে যাবে।

১৩. আসর থেকে মাগরিব পর্যন্ত সময়ে বেশি বেশি তাওবা-ইসতেগফার ও দোয়া করা।

১৪. সূর্য ডোবার পরপরই মাগরিব না পরেই মুজদালিফার উদ্দেশ্যে তালবিয়া পড়তে পড়তে আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করা।

১৫. আরাফাতের ময়দান ত্যাগ করার সময় মুজদালিফায় না পৌঁছে রাস্তায় মাগরিবের নামাজ পড়া যাবে না। মুজদালিফায় পৌঁছে এক আজান ও আলাদা আলাদা ইক্বামতে মাগরিব ও ইশার নামাজ আদায় করা।

১৬. যদি কেউ আরাফাতের ময়দান কিংবা পথে মাগরিবের নামাজ আদায় করে তবে ওই ব্যক্তির জন্য মুজদালিফায় গিয়ে পুনরায় মাগরিবের নামাজ আদায় করা ওয়াজিব।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন-সুন্নায় ঘোষিত নির্দেশনা মোতাবেক আরাফার দিনে দোয়া-দরূদ ও তাওবা-ইসতেগফার করার তাওফিক ও হজ্জে মাবরুর দান করুন এবং আমাদেরকে জীবনে অন্তত একবার হলেও আরাফাতের ময়দানে হাজির হয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের তৌফিক দান করুন, আমীন।

লেখক: বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ লেখক ও কলামিস্ট হাফিজ মাছুম আহমদ দুধরচকী। সাবেক ইমাম ও খতিব কদমতলী মাজার জামে মসজিদ সিলেট।

জনপ্রিয় সংবাদ

অপসাংবাদিকতা রোধে বরিশাল প্রেসক্লাবের জোরালো অবস্থান, অ্যাকশন কমিটি গঠন

অপসাংবাদিকতা রোধে বরিশাল প্রেসক্লাবের জোরালো অবস্থান, অ্যাকশন কমিটি গঠন

দেবীদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেনে মিলল নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহ

দেবীদ্বার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ড্রেনে মিলল নবজাতকের অর্ধগলিত মরদেহ

দেবীদ্বার কলেজ মাঠের অবহেলা, জলাবদ্ধতা আর অব্যবস্থাপনায় বন্ধ খেলাধুলা

দেবীদ্বার কলেজ মাঠের অবহেলা, জলাবদ্ধতা আর অব্যবস্থাপনায় বন্ধ খেলাধুলা

হিলি শহরের গাছ “পেরেক সন্ত্রাসের” শিকার, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত

হিলি শহরের গাছ “পেরেক সন্ত্রাসের” শিকার, পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত

জুলাই সনদে সই না করেও নীতিগত অবস্থানে অটল এনসিপি

জুলাই সনদে সই না করেও নীতিগত অবস্থানে অটল এনসিপি

সর্বশেষ সংবাদ

খাগড়াছড়িতে চাঁদা আদায়কালে ইউপিডিএফ সদস্য আটক

খাগড়াছড়িতে চাঁদা আদায়কালে ইউপিডিএফ সদস্য আটক

সিরাজগঞ্জে নাতির হাতে দাদী খুন, আটক নাতি

সিরাজগঞ্জে নাতির হাতে দাদী খুন, আটক নাতি

ডা. টিপুর সঙ্গে সব রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা মান্দা উপজেলা বিএনপির

ডা. টিপুর সঙ্গে সব রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা মান্দা উপজেলা বিএনপির

১৯ মাস পর ঘরের মাঠে সিরিজ জয় টাইগারদের

১৯ মাস পর ঘরের মাঠে সিরিজ জয় টাইগারদের

শিল্পা শেঠির রেস্তোরাঁ ‘বাস্তিয়ান’: রাতের আয় কোটি টাকা

শিল্পা শেঠির রেস্তোরাঁ ‘বাস্তিয়ান’: রাতের আয় কোটি টাকা

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

ধৈর্য ও আল্লাহর উপর ভরসাই মুমিনের শক্তি

জীবনের প্রতিটি পর্যায়েই মানুষ নানা সংকট, দুঃখ-কষ্ট ও পরীক্ষার সম্মুখীন হয়। কখনও তা অর্থনৈতিক, কখনও পারিবারিক, আবার কখনও মানসিক। এসব অবস্থায় একজন মুমিনের উচিত নিজের ধৈর্য ধরে আল্লাহর উপর সম্পূর্ণ ভরসা রাখা। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।” (সূরা আল-বাকারা: ১৫৩) এ আয়াতই প্রমাণ করে যে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্যই মুমিনের প্রকৃত অস্ত্র। মানুষ সাধারণত বিপদের সময় উদ্বিগ্ন ও হতাশ

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের আসল সফলতা

আল্লাহর সন্তুষ্টিই মুমিনের আসল সফলতা

দুনিয়ার জীবন আল্লাহর একটি পরীক্ষা। এখানে ধন-সম্পদ, সম্মান, কষ্ট কিংবা সুখ সবকিছুই মানুষকে যাচাই করার উপকরণ। কুরআনে আল্লাহ বলেন, “যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা করে, আল্লাহ তার জন্য সহজ পথ করে দেন।” (সূরা লাইল, আয়াত ৫-৭)। অর্থাৎ, মুমিনের জন্য সফলতার মাপকাঠি হচ্ছে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন, পার্থিব অর্জন নয়। এই বিষয়টি আজকের সমাজে বিশেষভাবে প্রাসঙ্গিক। মানুষ আজ বস্তুবাদে এতটাই ডুবে গেছে যে,

জমাদিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

জমাদিউল আউয়াল মাসের গুরুত্ব ও ফজিলত

আরবের শীতকাল জমাদিউল আউয়াল। আরবি বর্ষপঞ্জি বা হিজরি সনের পঞ্চম মাস হলো ‘জমাদিউল আউয়াল’। এর জোড়া মাস হলো ‘জমাদিউস সানি’, এটি হিজরি আরবি সনের ষষ্ঠ মাস। আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে এই মাস দুটি ‘জমাদিউল আউয়াল’ ও ‘জমাদিউস সানি’ নামে সমধিক পরিচিত। এর বাংলা অর্থ হলো প্রথম জমাদা ও দ্বিতীয় জমাদা বা প্রথম শীত ও দ্বিতীয় শীত; অর্থাৎ শীতকালের প্রথম মাস ও শীতকালের

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

আল্লাহর পথে ফিরে আসাই আত্মার শান্তি

জীবনের প্রতিটি বাঁকে মানুষ খোঁজে শান্তি, স্বস্তি ও তৃপ্তি। কিন্তু দুনিয়ার চাকচিক্যে সে শান্তি কোথাও পাওয়া যায় না। আধুনিক জীবনের ব্যস্ততা, লোভ ও প্রতিযোগিতা মানুষকে ক্লান্ত করে তুলছে প্রতিদিন। অথচ কুরআন বলছে, “জেনে রাখো, আল্লাহর স্মরণেই অন্তর প্রশান্তি লাভ করে।” (সূরা রা’দ, আয়াত ২৮)। এই আয়াতের মধ্যেই রয়েছে মানুষের মনের সকল অশান্তির নিরাময়। আজকের সমাজে আমরা দেখি—অর্থ, পদমর্যাদা, খ্যাতি, সম্পর্ক—সবকিছু অর্জনের

আল্লাহর পথে ফিরছে বিশ্ব: ইসলাম গ্রহণের ঢেউ

আল্লাহর পথে ফিরছে বিশ্ব: ইসলাম গ্রহণের ঢেউ

বর্তমান বিশ্বে দ্রুতগতিতে ইসলাম গ্রহণের প্রবণতা বাড়ছে। ইউরোপ, আমেরিকা ও আফ্রিকাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে অসংখ্য মানুষ ইসলাম ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছেন। সাম্প্রতিক এক জরিপে দেখা গেছে, গত এক বছরে শুধু ইউরোপেই প্রায় এক লাখের বেশি মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাজ্য ও নেদারল্যান্ডসে ইসলাম গ্রহণকারীর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। সামাজিক বৈষম্য, মানসিক অশান্তি ও বস্তুবাদী জীবনের ক্লান্তি