কুয়াকাটায় পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, খোয়া গেল সর্বস্ব

নিজস্ব প্রতিবেদক
আনোয়ার হোসেন আনু, কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশিত: শনিবার ৭ই অক্টোবর ২০২৩ ০৮:৫১ অপরাহ্ন
কুয়াকাটায় পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধুত্ব, খোয়া গেল সর্বস্ব

সৈকতে বসেই প্রথম পরিচয়, সেখান থেকে চা- সিগারেট এবং আড্ডা। এরপর চোর নিজেই সেই পর্যটকদের সঙ্গে বন্ধত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করেন। পর্যটকরাও বিশ্বাস করে নিয়ে যায় হোটেলে, রাতভর আড্ডা দিয়ে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সর্বস্ব লুট করে পালিয়ে যায় চোর হৃদয় মোল্লা। বলছিলাম পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা তিন পর্যটকের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অভিনব কায়দায় চুরির ঘটনা।


গত বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) কুয়াকাটা সৈকতে বসে বখাটে খ্যাত হৃদয় মোল্লার সঙ্গে পরিচয় হয় বরিশাল থেকে আসা বাঁধন সাহাসহ তার তিন বন্ধুর সঙ্গে। কৌশলে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব স্থাপন করে রাত্রিযাপন করে হোটেলে বিচ ডোরে। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে হৃদয় মোল্লা পর্যটকদের মোবাইল ফোন, ডিএসএলআর ক্যামেরা ও নগদ ৩২ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হয়ে যান।


শুক্রবার সকালে তারা হৃদয় মোল্লাকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোথাও না পেয়ে টুরিস্ট পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন। পরে ঘটনার তদন্তে নামেন ট্যুরিস্ট পুলিশ। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চোর হৃদয় মোল্লাকে গ্রেপ্তার করেছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।


এ বিষয় ভুক্তভোগী পর্যটকরা বলেন, আমরা সৈকতে বসা ছিলাম। তখন হঠাৎ করে এসেই আমাদের সঙ্গে গল্প করতে শুরু করে হৃদয় মোল্লা। কুয়াকাটার স্থানীয় বলায় আমরাও তার সঙ্গে দর্শনীয় স্থান ভ্রমণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে আলাপচারিতা করি। তিনি আমাদের সঙ্গে খুব ভালো আচরণ করায় আমরা তাকে রাতের খাবারের আহ্বান করি। পরে আমাদের সঙ্গে হোটেলে যায় এবং খাবার খেয়ে রাতে আমরা ঘুমিয়ে পড়লে আমাদের ক্যামেরা, মোবাইল এবং টাকা নিয়ে তিনি পালিয়ে যান।


কুয়াকাটা হোটেল বিচ ডোরের ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বরিশাল থেকে আসা ৪ জন পর্যটক আমাদের হোটেলের ২০৪ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেয়। রাতে তাদের সঙ্গে হোটেলে স্থানীয় একটি ছেলে আসেন। সকালবেলা জানতে পারি তাদের মালামাল নিয়ে ওই ছেলে পালিয়ে গেছেন। আমি তাৎক্ষণিক টুরিস্ট পুলিশকে বিষয়টি অবগত করি।


এ বিষয় টুরিস্ট পুলিশের পরিদর্শক হাসনাইন পারভেজ বলেন, কুয়াকাটা বিচ ডোর হোটেল থেকে পর্যটকদের মালামাল চুরি হয়েছে এ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ আসলে আমরা ঘটনার তদন্তে নামি। বিভিন্ন কৌশলে এবং একাধিক সোর্সের মাধ্যমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে চোর হৃদয় মোল্লাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হই। চুরি যাওয়া মালামাল তার বাসা থেকে উদ্ধার করি। তবে এ সময় হৃদয়ের কাছে কোনো নগদ টাকা পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় একটি চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।