করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে গত বুধবার থেকে সারাদেশে এক সপ্তাহের সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। আগামী ২১ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত এ লকডাউন চলবে। এদিকে, চলমান সর্বাত্মক লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে সরকার।
লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বিষয়ে আগামী সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে বলে জানান তিনি।
দেশে করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে গত বুধবার থেকে কঠোর বিধিনিষধের ঘোষণা করে সরকার। এই বিধিনিষেধকে বলা হচ্ছে ‘সর্বাত্মক লকডাউন’। গত বুধবার ভোর ৬টা থেকে আগামী ২১ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত সাতদিন এ বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে। তবে গার্মেন্টসসহ শিল্প কারখানা এবং ব্যাংক খোলা রয়েছে।
চলাচলে কড়াকড়ি আরোপসহ নানা নিষেধাজ্ঞায় বুধবার ভোর থেকে সরকারের এই নির্দেশনা কার্যকর হয়েছে। বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় জনসাধারণের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করার জন্য চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। এসব চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের পরিচয় এবং রাস্তার বের হওয়ার কারণ জিজ্ঞেস করা হচ্ছে।
যেসব পেশার মানুষ জরুরি সেবার সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের চেকপোস্ট অতিক্রম করার অনুমতি দিয়ে অন্যদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া অনেক রাস্তাতে বেরিকেড বসিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেসব রাস্তায় জরুরি সেবা সংস্থারও কোনো যানবাহন যেতে পারছে না; যেতে হচ্ছে বিকল্প রাস্তায়। ‘মুভমেন্ট পাস’ ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাইরে আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
জানা যায়, লকডাউন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করতে এ বিষয়ে আগামী সোমবার সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই লকডাউনের বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত হবে।
এদিকে, করোনা প্রতিরোধে চলমান সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে কঠোর অবস্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এই সময়ে সরকার ঘোষিত ১৩ নির্দেশনা জনগণকে মেনে চলতে নজরদারি বাড়িয়েছে প্রশাসন।
#ইনিউজ৭১/জিয়া/২০২১
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।