প্রকাশ: ৪ এপ্রিল ২০২১, ১৬:৩৮
লকডাউনে স্থগিত হচ্ছে না অমর একুশে গ্রন্থমেলা। তবে সময় পরিবর্তন হয়েছে। নতুন নিয়মানুযায়ী লকডাউনকালে বইমেলা ১২ টা থেকে ৫টা পর্যন্ত থোলা থাকবে।
রবিবার (৪ এপ্রিল) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা থাকবে।এর আগে বৃহস্পতিবার সারা দেশে করোনা সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় চলমান বইমেলা বন্ধের সুপারিশ করে কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
গত ৩১ মার্চ দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি পরিস্থিতি বিবেচনা করে একুশে বইমেলা -২০২১ এর দৈনিক সময়সূচি কমানো হয়।বাংলা একাডেমির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওইদিন জানানো হয়, বইমেলা বিকাল ৩টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এর আগে রাত ৮টা পর্যন্ত বইমেলা খোলা ছিল।
সাধারণত ফেব্রুয়ারিতে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে তবে এ বছর ১৮ মার্চ থেকে বইমেলা শুরু হয়েছে যা ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে।গত ১৮ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অমর একুশে বইমেলা-২০২১ উদ্বোধন করেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলা একাডেমিতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে বইমেলার উদ্বোধন করেন।
রাজধানীতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ এবং সংলগ্ন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলারে আয়োজন করা হয়েছে।এবছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বইমেলা উৎসর্গ করা হয়েছে। ২০২১ বইমেলার মূল প্রতিপাদ্য হলো ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী’।
করোনা মহামারিতে সামাজিক দূরত্বের কথা মাথায় রেখে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণ ও ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রায় ১৫ লাখ বর্গফুট জায়গায় এবারের বইমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ৫৪০টি প্রতিষ্ঠানকে ৮৩৪টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। একাডেমি প্রাঙ্গণে ১০৭টি প্রতিষ্ঠানকে ১৫৪টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে ৪৩৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৬৮০টি ইউনিট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। মেলায় থাকছে ৩৩টি প্যাভিলিয়ন।
এছাড়া,এ বছর ‘শিশু প্রহর’ থাকছে না। শিশু কর্নার সোহরাওয়ার্দীতে স্থানান্তর করা হয়েছে। এবার ‘লিটল ম্যাগাজিন কর্নার’ স্থানান্তরিত হয়েছে সোহরাওয়া্দী উদ্যানের মূল মেলা প্রাঙ্গণে।প্রবেশপথে হাত ধোয়া ও হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাস্ক ছাড়া কাউকে মেলায় ঢুকতে দেয়া হবে না।