আজ ২১ জুন। ভালো আছি ভালো থেকো/ আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো-এমন অসংখ্য অসংখ্য গানের গীতিকার ও সুরকার কবি রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর ৩০ তম মৃত্যুবার্ষিকী।
দিনটি উপলক্ষে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, রুদ্র স্মৃতি সংসদ,মোংলা সাহিত্য পরিষদসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সীমিত পরিসরে কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মোংলা মিঠাখালী গ্রামে সোমবার সকালে র্যালী সহকারে গিয়ে কবির সমাধীতে পুষ্পার্ঘ অর্পণ ও দোয়া মোনাজাত। বিকেলে স্বাস্থ্যবিধি কবির জন্মদিন উপলক্ষে "স্মরণানুষ্ঠান"।
করোনার সংক্রমণের কারনে এবছর বড় কোন অনুষ্ঠানমালা রাখা হয়নি।
মাত্র ৩৪ বছর বয়সে কবিতার খাতা ফেলে চলে গেছেন মৃত্যুলোকের ওপারে।তাই আকাশের ঠিকানায় আজ তার ভক্তরা রুদ্রকে লক্ষ্য করে হাজার চিঠি লিখবে।কবিতার ছন্দে গাঁথবে হাজারো মালা। সেই মালায় আজীবন চিরভাস্কর হয়ে থাকবে রুদ্রের স্মৃতি।
মৃত্যুদিনে এই অকাল প্রয়াত কবির জন্য অফুরন্ত প্রার্থনা। আমার ভিতর-বাহিরে অন্তরে-অন্তরে, আছো তুমি হৃদয় জুড়ে। হ্যা রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ,সত্তর দশকের অন্যতম জনপ্রিয় কবি আমাদের হৃদয়ের মণিকোঠায় সমস্ত জায়গাজুড়ে বিস্তারমান আছেন।
প্রতিশ্রুতিশীল এই কবির প্রতিভা পূর্ণ বিকশিত হওয়ার আগেই মাত্র ৩৪ বছর বয়সে পরপারে পাড়ি জমান শক্তিমাণ এই লেখক। ১৯৯১ সালের ২১ জুন তারিখে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের নিজ বাসভবনে আকস্মিক হ্নদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ মূলত কবি হলেও কাব্য চর্চার পাশাপাশি সঙ্গীত, নাটক, ছোটগল্পের ক্ষেত্রেও ছিলেন সমান উৎসাহী।রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহর জন্ম ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর বরিশাল শহরের রেডক্রস হাসপাতালে।রুদ্রের বাবার নাম শেখ ওয়ালীউল্লাহ এবং মায়ের নাম শিরিয়া বেগম।
তাদের স্থায়ী নিবাস বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার অন্তর্গত সাহেবের মেঠ গ্রামে, তবে পিতার কর্মস্থল ছিল বরিশাল।তাঁর বাবা পেশায় ছিলেন চিকিৎসক।দশ ভাই বোনের মাঝে তিনিই ছিলেন সবার বড়।ঢাকা ওয়েস্ট এন্ড হাইস্কুল থেকে ১৯৭৩ সালে এসএসসি এবং ১৯৭৫ সালে এইচএসসি পাস করেন রুদ্র মোহম্মদ। পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করেন।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সাতটি। এরমধ্যে রয়েছে উপদ্রুত উপকূল, ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম,মানুষের মানচিত্র,মৌলিক মুখোশ, ছোবল ইত্যাদি।রুদ্র কিছু গল্প আর গানও লিখেছেন।ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিখ্যাত ও বিতর্কিত লেখিকা তসলিমা নাসরিনকে বিয়ে করেন ১৯৮১ সালে।কিন্তু তাঁদের এই দাম্পত্য দীর্ঘস্থায়ী হয়নি।
১৯৮৬ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। এর কয়েক বছর পরই ১৯৯১ সালের এই দিনে পরপারে পাড়ি দেন রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।