প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২১:২৫
কোনো ট্যাগ পাওয়া যায়নি
ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আরিফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে অংশ নেওয়া ও অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২৮৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন। এ আদেশ দেশের রাজনৈতিক মহলে নতুন উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে।
এর আগে ২০২৫ সালের ২৭ মার্চ সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার মো. এনামুল হক একই আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৩ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এরপর সিআরপিসির ১৯৬ ধারায় ক্ষমতাপ্রাপ্ত হয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এই মামলার তদন্ত শুরু করেন।
তদন্ত শেষে মামলায় ২৮৬ জনকে আসামি করে চার্জশিট দাখিল করা হয়। এই চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ‘জয় বাংলা ব্রিগেড’-এর জুম মিটিংয়ে শেখ হাসিনা এবং অন্যান্যরা অংশ নেন। মিটিংয়ে শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের কাছে দেশবিরোধী বক্তব্য প্রদান করেন এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে উৎখাত করার নির্দেশ দেন।
ঘটনাটি সারা দেশে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্যাপক রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি করে। মিটিংয়ের ভিডিও ও অডিও ক্লিপ বিভিন্ন অনলাইন প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হয়, যা জনমনে উদ্বেগের সৃষ্টি করে।
মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারি করা গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সকলকে পুলিশ তৎপরতার মাধ্যমে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ইতিমধ্যেই অভিযান শুরু করেছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার প্রসঙ্গে আইনজীবীরা জানান, মামলা চলাকালীন সময়ে আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে আত্মরক্ষা করার সুযোগ পাবেন। এ ধরনের মামলায় প্রমাণভিত্তিক তদন্ত ও আইনানুগ প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মামলাটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে রাজনৈতিক দলগুলো এবং সমর্থকরা উত্তেজিত প্রতিক্রিয়া দিতে পারেন।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে সাংবাদিক ও রাজনৈতিক নেতারা এই মামলার বিষয়ে মন্তব্য করছেন। প্রশাসন এবং বিচারব্যবস্থা বিষয়টি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে, যাতে আইনের শাসন বজায় থাকে এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।