প্রকাশ: ২৭ মে ২০২৫, ১১:২৯
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। মামলায় এখন পর্যন্ত আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। ডিএমপির মিডিয়া ও পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ মঙ্গলবার (২৭ মে) এই তথ্য গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী এক সংবাদ সম্মেলনে মামলার বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবেন বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি গত ১৩ মে ঘটে, যখন রাতে শাহরিয়ার আলম সাম্য রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে ছুরিকাঘাতের শিকার হন। গুরুতর অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়, কিন্তু চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তার বড় ভাই ১৪ মে শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে পুলিশ দ্রুত কাজ করে আসামিদের সনাক্ত করতে সক্ষম হয়।
আসামিদের মধ্যে একজন মো. রিপন সোমবার আদালতে দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। অন্যদিকে, সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনের দুই দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। আরেক আসামি সুজন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে মামলার তদন্ত ত্বরান্বিত হয়েছে এবং আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এ হত্যাকাণ্ড ঢাবির ছাত্ররাজনীতির উত্তপ্ত প্রেক্ষাপটে ঘটে, যা সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতা হিসেবে শাহরিয়ার আলমের মৃত্যুর ঘটনা দেশের যুব সমাজকে দুঃখিত করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, তারা হত্যাকাণ্ডের পিছনে থাকা ষড়যন্ত্রকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
মামলার তদন্ত চলমান থাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে আরও তথ্য আসতে পারে। এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। ডিএমপি কমিশনার সাংবাদিকদের জানান, হত্যাকাণ্ডের সম্পূর্ণ তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা হবে। এই মামলায় দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শাহরিয়ার আলম সাম্যের মৃত্যু দেশের তরুণ সমাজের জন্য একটি বড় শোক। তার হত্যার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ যে পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রশংসার যোগ্য। আশা করা হচ্ছে, আইনের আওতায় আসামিরা তাদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবে এবং এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ হবে।