ঢাকার বাংলামোটরে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদের হাতে আটক হয়েছেন ছাত্রলীগের নোয়াখালী জেলার সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে তাকে আটক করা হয়। আন্দোলনের কর্মীরা অভিযোগ করেন, জুলাই মাসে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হামলার সঙ্গে আদনান সরাসরি জড়িত ছিলেন। তার মোবাইল ফোনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার আলামত এবং গুজব ছড়ানোর প্রমাণও পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন তারা।
আটকের খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আদনানকে হেফাজতে নেন। তবে এ বিষয়ে এখনো ডিবি বা পুলিশের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কর্মীরা আরও দাবি করেন, আন্দোলনের সময় গুলির ঘটনার সঙ্গেও আদনানের সম্পৃক্ততা ছিল। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এদিকে, আদনানের পরিবারের এক সদস্য জানান, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন এবং হামলার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। পরিবারের দাবি, আদনান জুলাই মাসে ঢাকায় অবস্থান করলেও কোনো ধরনের সহিংসতায় অংশ নেননি। তার বিরুদ্ধে নোয়াখালীতে কোনো অভিযোগও নেই।
এই ঘটনায় শিক্ষার্থীদের দাবি ও আদনানের পরিবারের বক্তব্যের মধ্যে বিভাজন দেখা দিয়েছে। ডিবি বা পুলিশের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়ার পর ঘটনাটি নিয়ে আরও স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।