ইভিএম ব্যবহার বাদ, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ একমত: সংস্কার কমিশন

নিজস্ব প্রতিবেদক
ইনিউজ ডেস্ক
প্রকাশিত: রবিবার ২২শে ডিসেম্বর ২০২৪ ০৬:৩১ অপরাহ্ন
ইভিএম ব্যবহার বাদ, সংস্কার কমিশনের সুপারিশ একমত: সংস্কার কমিশন

নির্বাচনে কারা অংশগ্রহণ করবে এবং কে যোগ্য প্রার্থী হবে, তা নির্ধারণ করা সম্পূর্ণ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) দায়িত্ব বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারবিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।


বদিউল আলম মজুমদার বলেন, “আমাদের কাজ কেবল নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার প্রস্তাব দেওয়া। এর মাধ্যমে আমরা নির্বাচনকে আরও সুষ্ঠু ও উন্নত করতে চাই। সবাই একটি সুষ্ঠু–নিরপেক্ষ নির্বাচন চান। জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে আমরা কাজ করছি।”


তিনি আরও জানান, “আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে, অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বরের আগেই প্রস্তাব জমা দেওয়া। প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, নির্বাচনী ট্রেনটিকে ট্র্যাকে উঠানোই প্রথম কাজ। সেই লক্ষ্যেই নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়েছে।”



নির্বাচন কমিশনের বর্তমান আইন এবং সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবের মধ্যে কোনো সংঘর্ষ নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি। বদিউল আলম বলেন, “যারা অনুসন্ধান কমিটিতে আছেন, তারা অত্যন্ত সম্মানিত এবং দলনিরপেক্ষ ব্যক্তি। আমরা আশা করি, তারা সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন।”


নাগরিকদের আকাঙ্ক্ষা সম্পর্কে তিনি বলেন, “অনেকে সুস্পষ্টভাবে জানাচ্ছেন যে, তারা আর ব্যবহৃত হতে চান না। তারা চান একটি সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন। আমরা তাদের এই আকাঙ্ক্ষা পূরণে সাধ্যমতো কাজ করছি।”



প্রার্থীদের হলফনামার বিষয়ে বদিউল আলম বলেন, “হলফনামায় অনেক রকম ভুয়া ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দেওয়া হয়। এমনকি তথ্য গোপনও করা হয়। এ বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের জন্য প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করছি।”


তিনি জানান, নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারের জন্য সংখ্যানুপাতিক আসন এবং অন্যান্য বিষয়ে সুপারিশ থাকবে। তবে সংবিধান পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিশনকে সুপারিশ করতে হবে।



ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচন কমিশন এবং আমরা উভয়েই এই বিষয়ে একমত।”



মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ, নির্বাচন কমিশনের সাবেক অতিরিক্ত সচিব জেসমিন টুলি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ডা. মো. আবদুল আলীম এবং চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম।


সভায় জনগণের বিভিন্ন অভিমত, আকাঙ্ক্ষা এবং প্রস্তাবগুলো উঠে আসে। এসময় নির্বাচনব্যবস্থার উন্নয়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ এবং প্রস্তাব চূড়ান্ত করার গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।