প্রকাশ: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৪:৪
কুমিল্লার দেবীদ্বারে একাধিকবার অতিরিক্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করেও স্থবির হয়ে পড়ে আছে সড়কের সংস্কার কাজ। ফলে জনগনের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এলজিইডি সিসিবি প্রকল্পের আওতাধীন ১২টি রাস্তার কাজ চলছে কচ্ছপ গতিতে।
এ প্রকল্পের আওতায় দেবীদ্বার থেকে গুনাইঘর ইউনিয়নের বনকুট-পদ্মকোট হয়ে ধামতী চলাচলের ব্যাস্ততম সড়কটির নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর দুইবার অতিরিক্ত সময় শেষ হলেও ৩০% কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। রাস্তা চলাচলে জনদূর্ভোগ নিরসনে গুনাইঘর উওর ইউপি চেয়ারম্যান মোকবল হোসেন মুকুল সম্প্রতি ওই সড়কে নিজ হাতে সংস্কার কাজ করতে দেখা গেছে।
স্থানীয়রা ও ইউপি চেয়ারম্যান জানান, এই ইউনিয়নে বর্তমান সংসদ সদস্য রাজী মোহাম্মদ ফখরুল এমপি'র বাড়ি। তিনিও এই সড়কে চলাচল করেন৷ বহুদিন ধরে সড়কটির এই বেহাল অবস্থার কোনো উন্নয়ন দেখছিনা। দীর্ঘদিন যাবৎ সড়কটি সংস্কার না করার ফলে ভেঙ্গে বিভিন্ন যায়গায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিতে সড়কে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। ২ বছর রাস্তার টেন্ডার হয়েছে কিন্তু এখনো সংস্কারের কোনো কাজ হয়নি।
এলজিইডি অফিস সূত্রে জানা গেছে, সিসিবি প্রকল্পে উপজেলায় ১২ টি সড়কের কাজের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ৮৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে দেবীদ্বার- থামতী সড়কটি সুমন এন্টারপ্রাইজ ৩০%, ৮৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সাবের পুকুরপার রোড সিএস হাউজ ৬০%, ১কোটি ৫৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে সংচাইল প্রাইমারি স্কুল রোড মেসার্স জয় কনস্ট্রাকশন ৩০%, ৯৮ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ধামতী ফাজিল মাদ্রাসা রোড চৌধুরী এন্টারপ্রাইজ ৬০%, এককোটি ২৪ লক্ষ টাকা ব্যায়ে ধামতী- দুলালপুর- আব্দুলাপুর রোড মুকুল এন্টারপ্রাইজ ৫০%, ৪৫ লক্ষ টাকা ব্যায়ে জাফরগন্জ-মোহনপুর রোড মারিয়া বিল্ডার্স ৩০%, ১কোটি ৯১ লক্ষ টাকা ব্যায়ে তেবারিয়া বাজার রোড জোয়ানা কনস্ট্রাকশন ৫৫%, ১কোটি ২৭ লক্ষ টাকা ব্যায়ে চান্দিনা হাইওয়ে- সালের পুকুরপাড় রোড রুদ্র এন্টারপ্রাইজ ৭০% কাজ সম্পন্ন করেছে। এদের মধ্যে অনেকেরই একাধিকবার অতিরিক্ত সময় বর্ধন করা হয়েছে।
সুমন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ মশিউর রহমান সুমন জানান, প্রায় ৩ বছর আগে রাস্তার কাজটি আমি শুরু করেছি। হঠাৎ করে পাথর ও ভিটুমিনসহ কনস্ট্রাকশনের জিনিসপত্রের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। বর্তমানে রাস্তার খুবই খারাপ অবস্থা এই কাজটি সম্পন্ন করতে আমার ৩০ লক্ষ টাকা লস হবে। এখন বৃষ্টির কারনে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। যেহেতু রাজনীতি করি তাই লস হলেও আগামী নভেম্বরের মধ্যেই কাজ সম্পন্ন করবো।
এবিষয়ে সোমবার বিকেলে দেবীদ্বার উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ চন্দ্র সরকার বলেন, যথাযথ নিয়ম ও সময়ের মধ্যে যারা কাজ সম্পন্ন করবে না তাদের বিষয়ে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। এখন অনেকেই কাজ চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক তবে বৃষ্টির কারনে সমস্যা হয় বিধায় আবাদত কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি। বৃষ্টি শেষ হলেই রাস্তার কাজ পুনরায় চালু করে জনকল্যানে দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।