আশাশুনিতে চলাচলের অনুপোযোগি গ্রামীণ সড়ক, দেখার কেই নেই!

নিজস্ব প্রতিবেদক
সচ্চিদানন্দদেসদয়, আশাশুনি উপজেলা প্রতিনিধি, সাতক্ষিরা
প্রকাশিত: শনিবার ১৩ই মে ২০২৩ ০৮:০২ অপরাহ্ন
আশাশুনিতে চলাচলের অনুপোযোগি গ্রামীণ সড়ক, দেখার কেই নেই!

আশাশুনি উপজেলার খাজরা টু বড়দল সড়কে কার্পেটিং উঠে সৃষ্ট খানাখন্দ পথচারীদের জন্য মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘ দিন সংস্কার না করায় প্রায় ৫ কি.মি. এলাকায় পিচ, খোয়া, বালু উঠে মাটি বের হয়ে গেছে। যান চলাচলে চরম ভোগান্তির কবলে পড়ছেন যানবাহন চালকসহ সাধারন যাত্রীরা।


শুক্রবার  দুপুরে বড়দল থেকে খাজরা বাজারগামী ইট বোঝাই ট্রলি কালকীর স্লইচ গেট সংলগ্ন রাস্তায় দেবে যায়। সাথে সাথে খাজরা থেকে বড়দলগামী ও বড়দল থেকে খাজরাগামী মোটর ভ্যান, মটর সাইকেল ও ট্রলি আটকে যানযটের সৃষ্টি হয়। প্রচন্ড দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এরকম ঘটনা ঐ সড়কে এখন নিত্য দিনের ঘটনা হয়ে দাড়িয়েছে। 


আরও জানা যায়, এ জনগুরুত্বপূর্ন রাস্তাটি রাউতাড়া রাজবংশী পাড়া হতে বড়দল ভোলামোল্লার খেয়া পর্যন্ত প্রায় ৫ কি.মি. এর পিচের রাস্তার একাধিক জায়গায় ছোট বড় গর্ত হয়ে আছে। খাজরা বাজার হতে বড়দল বাজারগামী ইজিবাইক, মোটর ভ্যান হেলেদুলে যাত্রী পরিবহন করছে। এছাড়া বড়দল হতে কয়েকটি ইট ভাটা হতে ইট ও গাছের লগ বহনকারী পরিবহন মারাত্বক ঝুকির মধ্যে ইট ও মালামাল নিয়ে গন্তব্যে পৌছিয়ে দিচ্ছে। পথিমধ্যে অনেক মালবাহী গাড়ী বিকল হতেও দেখা যায়।


 এমনকি মালবাহী পরিবহন গুলো গর্তের ভিতরে আটকে যানযটের কারণ হচ্ছে। অসুস্থ কোন রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়ার সময়ও বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে। বর্তমানে এসএসসি পাবলিক পরীক্ষা চলমান আছে। বড়দল কেন্দ্রে খাজরা থেকে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদে পৌছানো নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন।


সড়কের খাজরা ইউনিয়নের খালিয়া, ফটিকখালী, গজুয়াকাটি, খাজরা, রাউতাড়াসহ পার্শ্ববর্তী আনুলিয়া ইউনিয়নের ভোলানাথপুর, মনিপুর গ্রাম থেকে বড়দল কলেজিয়েট স্কুলে শিক্ষার্থীরা ঝুঁকি নিয়ে যাতয়াত করছে। সপ্তাহে একদিন বড়দল বাজারেও সংশ্লিষ্ট এলাকার শতাধিক হাটুরে এ রাস্তা ব্যবহার করে হাটবাজার করে থাকে। আবার রবিবার বড়দল বাজার করে অনেক ব্যবসায়ী মালামাল নিয়ে খাজরা বাজারে আসে। এছাড়াও এই অঞ্চলের মানুষের আশাশুনি উপজেলা, সাতক্ষীরা জেলা শহরের বিভিন্ন কাজের জন্য অনেক সময় এই রাস্তা ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন জেলা থেকে ধান শ্রমিকরা ধান কেটে নিরাপদে খাজরা বাজার পর্যন্ত পৌছাতে পারছে না। ফলে ধান শ্রমিকরা ভোগান্তিরর শিকার হচ্ছেন। 


স্থানীয় মোটর সাইকেল চালক সুব্রত গোলদার জানান, রাস্তাটির একাধিক জায়গায় নষ্ট হওয়ায় আমরা খাজরা বাজার থেকে বড়দলে যাত্রী নিয়ে যেতে ভয় হয়। এছাড়াও ধুলাবালিতে আমাদের গাড়ির বিভিন্ন যন্ত্রাংশ দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। রাস্তাটি খারাপ হওয়ায় ব্যাটারী চালিত ভ্যানো বেশিক্ষন চার্জ থাকে না। আমরা চাই দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করা হোক।


 রাস্তাাটি দ্রুত সংস্কার করে চলাচল উপযুক্ত করার দাবিতে সাতক্ষীরা ৩ আসনের সাংসদ অধ্যাপক ডা. আফম রুহুল হক এর আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সংশ্লিষ্ট দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার ক্ষতিগ্রস্ত জনগণ।