মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের উত্তেজনার মাঝে ওই অঞ্চলে নতুন করে যুদ্ধের দামামা বাজছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি মনুষ্যবিহীন ড্রোন তেহরান ভূপাতিত করার বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দেশটিতে হামলা চালাতে সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সামরিক বাহিনী প্রস্তুতি নিলেও একেবারে শেষ মুহূর্তে এসে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তিনি। সিদ্ধান্ত বাতিলের পেছনে ট্রাম্প বলেছেন, হামলায় অন্তত ১৫০ জন ইরানির প্রাণহানি ঘটতো। যেটি তিনি চাননি। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চলমান চরম এই উত্তেজনার মাঝে শনিবার ওয়াশিংটনকে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান। তারা বলছে, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের বিরুদ্ধে যে কোনো ধরনের আগ্রাসন হলে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন স্বার্থের ওপর ভয়াবহ পরিণাম নেমে আসবে।
ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল শেকারচি দেশটির আধা-সরকারি বার্তাসংস্থা তাসনিম নিউজ অ্যাজেন্সিকে বলেন, ইরানে একটি বুলেট ছোড়া হলে, তা যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্রদের স্বার্থে আগুন জ্বালিয়ে দেবে। এই অঞ্চলের বর্তমান পরিস্থিতি ইরানের পক্ষে রয়েছে। ‘শত্রুরা-- বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা যদি সামরিক ভুল করে পাউডার কেইজে গুলি ছোড়ে তাহলে, আমেরিকার স্বার্থ যেখানে যেখানে রয়েছে; সেসব অঞ্চল আগুনে জ্বলবে।’
শুক্রবার ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানে হামলা চালানোর জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু মনুষ্যবিহীন ড্রোন ভূপাতিত করার ঘটনায় তেহরানে হামলা চালানো যৌক্তিক হবে না ভেবে একেবারে শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। তেহরান বলছে, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ইরানে ঢুকে পড়ায় মার্কিন ওই ড্রোন ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে ওয়াশিংটন এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মধ্যপ্রাচ্যের সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ওমান উপসাগরের কাছে তেলবাহী ট্যাঙ্কারে হামলা-পাল্টা হামলার জেরে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মাঝে।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।