
প্রকাশ: ২৮ মার্চ ২০১৯, ১৯:৩৬

ব্রেক্সিট ইস্যুতে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এমপিদের আটটি প্রস্তাবের কোনটিই নিম্নকক্ষের ভোটে স্পষ্ট সমর্থন আদায় করতে পারেনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে একটি কাস্টমস ইউনিয়নের প্রস্তাব, চুক্তি অনুমোদনের জন্য গণভোটের আহ্বান, নো-ডিল ব্রেক্সিটের প্রস্তাব থেকে শুরু করে ইইউয়ের সঙ্গে শুল্ক কাঠামো রক্ষা করে ব্রেক্সিট চুক্তি চূড়ান্ত করার প্রস্তাব সবই বাতিল হয়ে যায়। এই ফলাফলের কারণে ব্রিটেনের একদিনের নাটকীয় পরিস্থিতির অবসান হয়েছে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে যদি তার চুক্তি পাস হয়ে যায়, তাহলে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। অর্থাৎ পার্লামেন্টে ইইউ থেকে ব্রিটেনের প্রত্যাহারের চুক্তি পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নির্ধারিত সময়ের আগেই পদত্যাগের ঘোষণা দেবেন থেরেসা মে।

এরপর গত ১২ মার্চ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইইউ নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে এমপিদের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে এমন একটি চুক্তি পার্লামেন্টে উপস্থাপন করেন। কিন্তু সেটাও পরাজিত হয়। এখন তিনি তৃতীয়বারের মতো ব্রেক্সিট চুক্তি পার্লামেন্টে উত্থাপন করতে চাইছেন। তবে তার আগে তিনি যথেষ্ট সংখ্যক এমপির সমর্থন নিশ্চিত করতে চান। এবার থেরেসা মে নিজের পদত্যাগের ঘোষণা দেওয়ায় অনেক টোরি এমপি, তার চুক্তির প্রতি সমর্থন দিতে পারে বলে আভাস পাওয়া গেলেও ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন জানিয়ে দিয়েছে যে তারা এই চুক্তির বিরোধিতা করে যাবে। থেরেসা মে টোরি দলের সদস্যদের উদ্দেশ করে বলেছেন, ‘আমাদের দেশ এবং আমাদের দলের জন্য যা সঠিক তা করার উদ্দেশ্যে আমি আমার দায়িত্ব আগে থেকেই ছেড়ে দিতে প্রস্তুত।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি জানেন যে টোরি সাংসদরা তাকে আর ব্রেক্সিটের পরবর্তী আলোচনার নেতৃত্বে দেখতে চান না এবং তিনিও সেই পথেই দাঁড়াবেন না বলে জানান। তবে তিনি কমিটির সভায় তার পদত্যাগের কোনও দিনক্ষণ উল্লেখ করেননি।

ইনিউজ ৭১/এম.আর