নিউজিল্যান্ডের আল নূর মসজিদে ব্রেনটন ট্যারান্ট যখন এলোপাতাড়ি গুলি চালাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই তাকে জাপটে ধরে আটকানোর চেষ্টা করেন নইম রশিদ। সে সময় রশিদ না আটকালে নিহতের সংখ্যা আরও অনেক বাড়ত। সেই অসমসাহসী ব্যক্তি গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে মারা গেছেন।শনিবার হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় মারা যান পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদের বাসিন্দা রশিদ। একই দিন তার ছেলে তালহা রশিদও মারা যান।নিউজিল্যান্ডবাসীরা তো বটেই, গোটা পৃথিবীর চোখেই তিনি এখন মানবতার নায়ক।আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার হামলায় বেঁচে যাওয়া ভারতীয় বংশোদ্ভূত ফয়জল সৈয়দ জানিয়েছিলেন, কীভাবে মসজিদে গুলিবৃষ্টির মধ্যেই ‘জনৈক ব্যক্তি’ ছুটে এসে হামলাকারীকে জাপটে ধরেন। বন্দুক না নামানো অবধি চেপে ধরে রাখেন। ফয়জল আরও জানান, তিনি যে বেঁচে গেছেন তা ওই মানুষটির জন্যই। তাকে খুঁজে পেতে চান তিনি। সে আর হলো না। ব্রেনটনের গুলিতে মারাত্মক জখম হয়েছিলেন নইম। কাল গভীর রাতেই তার মৃত্যু হয়।
পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদে থাকাকালীন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরি করতেন নইম। পরে শিক্ষকতার চাকরি নিয়ে নিউজিল্যান্ডে চলে যান। নইম ও তালহার মৃত্যুর খবর সংবাদমাধ্যমকে জানান নইমের দাদা খুরশিদ আলম। পাকিস্তানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহম্মদ ফয়জল জানান, আরও ৯ জন পাকিস্তানির খোঁজ মিলছে না।আল নূর মসজিদের পরে কাছের লিনউড মসজিদেও হামলা চালায় ব্রেনটন। সেখানেও এক ব্যক্তি প্রাণপণে তাকে আটকানোর চেষ্টা করেয়। তার হাত থেকে বন্দুক কেড়ে নিতে পেরেছিলেন একজন। কিন্তু বন্দুক চালাতে জানতেন না তিনি। সেই ফাঁকে ব্রেনটন ছুটে গাড়িতে উঠে পড়ে।১৫ মার্চ শুক্রবার নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন, অর্ধশতাধিক। এই সন্ত্রাসী হামলার সময় আল নূর মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। তারা মসজিদে ঢোকার কিছুক্ষণ আগে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ফলে অল্পের জন্য বেঁচে যান টাইগাররা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।