থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচনে থাই রাকসা চার্ট পার্টি থেকে প্রধানমন্ত্রী পদে অংশ নিচ্ছেন রাজা প্রিন্স মাহা ওয়াজিরালংকর্ণের বড় বোন রাজকুমারী উবলরত্না রাজকন্যা সিরিবধনা (৬৭)। শুক্রবার দেশটির ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার দল থাই রাকসা চার্ট পার্টির পক্ষ থেকে এ ঘোষণা দেওয়া হয়। ঐতিহ্যগতভাবে থাই রাজ পরিবারের সদস্যরা রাজনীতির বাইরে থাকেন; তবে রাজকুমারীর এই সিদ্ধান্ত সেদিক থেকে দেশটির ইতিহাসে একটি নজিরবিহীন ঘটনা। থাই নির্বাচন কমিশনের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, নির্বাচিত হলে দল কাকে প্রধানমন্ত্রী করবে তার নাম আগেই ঘোষণা করতে হয়।
পার্টির নেতা প্রিচপল পংপানিচ সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের পার্টির বোর্ড রাজকুমারী উবলরত্নাকে প্রধানমন্ত্রী পদে মনোনয়ন দিতে সম্মত হয়েছে। তার মতো একজন শিক্ষিত ও অভিজ্ঞ ব্যক্তি এ পদের জন্য উপযুক্ত পছন্দ।প্রথা অনুযায়ী, রাজপরিবারের কোনো সদস্যের বিপক্ষে অন্য কেউ প্রার্থী হতে পারবে না। ফলে রাজকুমারী প্রার্থী হওয়ায় অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের ভবিষ্যত নিয়ে ‘শঙ্কা’ দেখা দিয়েছে। আসছে ২৪ মার্চ থাইল্যান্ডের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২০১৪ সালে থাইল্যান্ডে সামরিক অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রী ইংলাক সিনাওয়াত্রার সরকার উৎখাতের পর দেশটিতে এটিই হবে প্রথম সাধারণ নির্বাচন।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে থাই নির্বাচন কমিশন জানায়, সাধারণ নির্বাচন হবে ২৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু ওই সময়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং নতুন থাই রাজা হিসাবে মাহা ভাজিরালংকর্ণের অভিষেকের আগাম প্রস্তুতি একই সময়ে পড়ে যাওয়ার কথা জানায় সামরিক সরকার। পরে গত ২৩ জানুয়ারি নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। থাইল্যান্ডে ২০১৪ সালে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন জেনারেল প্রায়ুথ চান ওচা। তিনি পরের বছরই নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে নানা কারণে কয়েকবার নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে তার জান্তা সরকার। যদিও এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী পদে হয়েছেন জেনারেল প্রায়ুথ চান ওচা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।