অস্ত্র লুটের পাঁচ মাস, দেড় হাজার এখনো উদ্ধার হয়নি

নিজস্ব প্রতিবেদক
জিয়াউল হক জুয়েল (স্টাফ রিপোর্টার)
প্রকাশিত: মঙ্গলবার ১৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ০৪:২৯ অপরাহ্ন
অস্ত্র লুটের পাঁচ মাস, দেড় হাজার এখনো উদ্ধার হয়নি

লুট হওয়া দেড় হাজারের বেশি অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলি এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ। মঙ্গলবার তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ কর্ম অধিবেশন শেষে তিনি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।  


তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর প্রায় ৬ হাজার অস্ত্র ও ৬ লাখ গুলি লুট হয়েছিল, যার মধ্যে এখনো ১ হাজার ৪০০ অস্ত্র ও আড়াই লাখ গুলি নিখোঁজ রয়েছে। এসব অস্ত্র সন্ত্রাসীদের হাতে পড়তে পারে এবং তারা সেগুলো ব্যবহার করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।  


চলমান অভিযানের মাধ্যমে দ্রুত এগুলো উদ্ধার করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। নিখোঁজ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ টাস্কফোর্স কাজ করছে এবং যেকোনো মূল্যে এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।  


তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা বিভিন্ন জায়গায় সংগঠিত হচ্ছে এবং নানা কর্মসূচি দিচ্ছে, যা দেশকে অস্থিতিশীল করার আশঙ্কা তৈরি করছে। তাই জেলা প্রশাসকদের এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।  


প্রশাসনের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, জেলা প্রশাসকসহ মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব আরও জোরদার করতে হবে। বিশেষ করে সীমান্ত এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে অবৈধ অস্ত্র বা গোলাবারুদ প্রবেশ করতে না পারে।  


তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের তিনটি প্রধান প্রত্যাশা হলো নিরাপদে চলাফেরা করা, রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমানো এবং দ্রব্যমূল্য ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখা। সরকার এই তিনটি বিষয় নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে এবং প্রশাসনকেও সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এই বিষয়গুলো তদারকি করতে বলা হয়েছে।  


জনগণের জন্য সরকারি সেবাসমূহ সহজলভ্য করার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ যাতে কোনো ধরনের হয়রানির শিকার না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। জনগণ যেন দুর্নীতিমুক্তভাবে সরকারি সুবিধা পায়, সেই লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকদের কাজ করতে হবে।  


সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর অবস্থানে থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, যারা দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া নিখোঁজ অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষ অভিযান চলবে এবং অপরাধীদের চিহ্নিত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে।