কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছে। সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এ দাবি জানান বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত সোয়া ৯টায় গাজীপুরে হামলায় নিহত শিক্ষার্থী আবুল কাশেমের জানাজা শেষে। জানাজার পর কাশেমের কফিন নিয়ে মিছিলে তিনি বলেন, "এই ভূখণ্ডে হয় আমরা থাকব, না হয় আওয়ামী লীগ থাকবে।"
হাসনাত আব্দুল্লাহ আরও বলেন, "আজকের দিনটি আমাদের জন্য এক বিপ্লবী দিন। আজকে আমাদের ভাই শহীদ হলেন। আমাদের ব্যর্থতা এই যে, আমরা এতদিন সুবিচার নিশ্চিত করতে পারিনি। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে পারিনি।" তিনি অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর তাদের আন্দোলন অনেকদূর এগিয়ে গেছে, তবে তারা সরকারের কাছে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবি জানান।
কফিন মিছিলে বক্তারা আওয়ামী লীগকে দেশে রাজনীতি করার অধিকার না দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। আন্দোলনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা আগামী দিনে আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর শাস্তি দাবি করবে এবং দলটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
এ সময় বিভিন্ন স্লোগান উঠেছে যেমন "দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা", "আওয়ামী লীগের আস্তানা, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও", "আমার ভাই কফিনে, খুনি কেন বাহিরে" এবং "মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ"। এসব স্লোগানের মাধ্যমে তারা আওয়ামী লীগ এবং সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে।
এদিকে, জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, "গাজীপুরে অভ্যুত্থানের ৬ মাস পরে আমাদের ভাইকে কুপিয়ে শহীদ করা হলো।" তিনি বলেন, "শহীদের লাশের শপথ করি, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে লড়াই করে যাবো।"
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় সারাদেশে শহীদ কাশেমের গায়েবানা জানাজা এবং আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে খাটিয়া মিছিল করা হবে।
এই ঘটনাটি দেশে রাজনৈতিক উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে এবং সংশ্লিষ্ট দলগুলো একে রাজনৈতিক প্রতিবাদ ও প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসেবে দেখছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এটি বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নতুন মোড় এনে দিতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।