আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ১০টায় জামায়াতে ইসলামীর ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসে। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে, যেখানে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে দলটির সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। প্রতিনিধি দলে আরো রয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল এ. এইচ. এম হামিদুর রহমান আযাদ, বাংলাদেশ ল'ইয়ার্স কাউন্সিলের সভাপতি ও জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন সরকার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট এস. এম. কামাল উদ্দীন, সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মো. ইউসুফ আলী।
এ বৈঠকের মাধ্যমে জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন বাতিল করে দিয়েছিল। নির্বাচন কমিশন তাদের দাবি অনুযায়ী দলের নিবন্ধন বাতিল করে দেওয়ার জন্য ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর প্রজ্ঞাপন জারি করে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জামায়াতে ইসলামী দলটি ২০০৮ সালের ৪ নভেম্বর গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের আওতায় নিবন্ধন পেয়েছিল, কিন্তু একটি মামলার রায়ে হাইকোর্ট ২০১৩ সালে তাদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করে। ফলস্বরূপ, ২০১৮ সালে ইসি জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে।
এখন পর্যন্ত জামায়াতের নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহত রেখেছে। তারা আশা করছে, দলটির নিবন্ধন পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে এবং দলটি আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।
নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা জামায়াতের নিবন্ধন পুনর্বহাল নিয়ে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করছেন এবং আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। জামায়াতের প্রতিনিধিরা তাদের দাবি জানিয়ে বলেছেন, নিবন্ধন পুনর্বহাল হলে দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে এবং তাদের রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পাবে।
ইতিমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক মহলে এই বৈঠকটি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। বিশেষ করে, জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন সংক্রান্ত বিষয়টি দেশীয় রাজনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বৈঠকের ফলাফল বাংলাদেশের আগামী রাজনৈতিক দৃশ্যপটে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এদিকে, জামায়াতের প্রতিনিধি দল নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠকে দলটির নিবন্ধন বাতিল হওয়ার পর থেকে তারা যে সব রাজনৈতিক বাধার সম্মুখীন হয়েছে, তা তুলে ধরেছে। দলের নেতারা নির্বাচন কমিশনকে তাদের পরিস্থিতি বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেছেন এবং ভবিষ্যতে দলটির অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সহায়তা চেয়েছেন।
এই বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক পরিবেশে নতুন আলোচনার সূচনা করতে পারে এবং আগামী সময়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি ও নির্বাচনী কার্যক্রমকে নতুন দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।