বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার দৌড়ে ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির এই সিরিজটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। পার্থে প্রথম টেস্টে ভারত রোমাঞ্চকর জয় দিয়ে আগামীর আশার সঞ্চার করেছিল, তবে অ্যাডিলেডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় টেস্টে উল্টো চিত্রই দেখা গেল।
দিবারাত্রির পিঙ্ক টেস্টটি মাত্র তিনদিনেই শেষ হয়ে যায়, যেখানে ভারত কেবল ১০৩১ বল খেলেছে। এটি ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সর্বনিম্ন বল খেলা টেস্ট ম্যাচ হিসেবে ইতিহাসে স্থান পেয়েছে। প্রথম ইনিংসে অস্ট্রেলিয়া ১৫৭ রানে নিজেদের ইনিংস শেষ করার পর ভারতের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ১৯ রানের লক্ষ্য ছিল, যা কোনো ভাবেই পূরণ করতে পারল না তারা।
ভারতের শুরুটা খুব একটা ভালো ছিল না। প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্ক এবং দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্সের দারুণ বোলিং তোপে পড়ে ভারত তাদের ইনিংস শেষ করে মাত্র ১৭৫ রানে। এর আগে, দ্বিতীয় দিন শেষে ভারত ছিল ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে, যা তাদের জন্য একটি বিপর্যয় সংকেত হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভারতীয় দলের জন্য এটি ছিল অতি শোচনীয় এক পরিস্থিতি।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিং আক্রমণ ছিল অপ্রতিরোধ্য। স্টার্ক এবং কামিন্সের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কাছে ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা অসহায় হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত, ভারতের হাতে মাত্র ১৮ রানের লক্ষ্য ছিল, যা তারা পূরণ করতে ব্যর্থ হয় এবং অস্ট্রেলিয়া ১০ উইকেটের বিশাল জয় তুলে নেয়।
এই পরাজয়ের ফলে ভারতীয় দলের সামনে আরও কঠিন পথ অপেক্ষা করছে। তারা যদি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে পৌঁছাতে চায়, তাহলে পরবর্তী ম্যাচগুলোতে তাদের আরো মনোযোগী এবং সজাগ হতে হবে। অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়া এই জয় দিয়ে বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির সিরিজে সমতা এনে দিয়েছে এবং নিজেদের জায়গা মজবুত করেছে।
এটি সত্যিই একটি রোমাঞ্চকর টেস্ট সিরিজ, যা ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে দীর্ঘ সময়ের জন্য থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।