চেন্নাইয়ের ধর্মশালায় অনুষ্ঠিত টেস্ট ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ভারত ৩৭৬ রানে অলআউট হয়ে যায়। বাংলাদেশ দলের বোলিংয়ে যদিও কিছুটা সাফল্য ছিল, কিন্তু তারা প্রথম ইনিংসে ১৪৯ রানে গুটিয়ে গিয়ে ২২৭ রানের লিড নিয়ে ভারতকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ের সুযোগ দেয়।
ভারতের ব্যাটিংয়ে শিবমন গিল এবং রিষভ পন্থের দাপুটে পারফরম্যান্স দ্বিতীয় ইনিংসে দলের অবস্থানকে আরো শক্তিশালী করে। তৃতীয় দিনের খেলা শুরু হয় গিল ও পন্থের ব্যাটিং দিয়ে, যেখানে গিল ৬৪ বলে ৩৩ এবং পন্থ ১৩ বলে ১২ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়। এই দুই ব্যাটার বাংলাদেশী বোলারদের ওপর দারুণ চাপ সৃষ্টি করে, রানের চাকা সচল রাখেন।
গিল তার সাবলীল ব্যাটিংয়ে দ্রুত ফিফটি তুলে নেন, এরপর পন্থও ফিফটির গণ্ডি অতিক্রম করেন। তাদের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশী বোলাররা একেবারেই অপ্রস্তুত হয়ে পড়েন। বিশেষ করে সাকিব আল হাসানের বলে পন্থের ক্যাচ মিস করার পর বাংলাদেশের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও দলীয় আত্মবিশ্বাসে ভাটা পড়ে।
শেষ পর্যন্ত ভারত ৫১ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায়। গিল ১৩৭ বলে ৮৬ এবং পন্থ ১০৮ বলে ৮২ রানে অপরাজিত রয়েছেন। এই অবস্থানে ভারতের সামনে ৪৩২ রানের একটি বড় লিড রয়েছে, যা বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারে।
বিশ্লেষকদের মতে, যদি গিল এবং পন্থের এই অবিচ্ছিন্ন পার্টনারশিপ বজায় থাকে, তবে ভারতকে বিপুল লিডের দিকে নিয়ে যেতে আর কোনো বাধা থাকবে না। অপরদিকে, বাংলাদেশের বোলারদের জন্য এটা একটি কঠিন পরিস্থিতি, যেখান থেকে ফিরে আসার জন্য তাদেরকে খুব ভালভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
চেন্নাই টেস্টের চতুর্থ দিন বাংলাদেশ দলের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। তাদের ব্যাটিং লাইনআপের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে, এবং পুরো ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণের জন্য এটা হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।