টুইটারে প্রায় সময় নানা পোস্ট করলেও সংস্থাটির সঙ্গে সম্পর্ক মোটেও ভালো নয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। ট্রাম্পের বরাবরের অভিযোগ টুইটার প্রধান রিপাবলিকান নেতা বলে ইচ্ছাকৃতভাবে তার ফলোয়ার কমিয়ে দিচ্ছে। তাই ফলোয়ার কমে যাওয়ায় উদ্বিগ্ন ট্রাম্প জবাব চেয়ে হোয়াইট হাউসে ডেকে টুইটার সিইও জ্যাক ডরসির সঙ্গে মঙ্গলবার বৈঠক করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, মঙ্গলবারের বৈঠকে টুইটারের প্রধান নির্বাহীর কাছে নিজের ফলোয়ার কমে যাওয়ার কারণ জানতে চান ট্রাম্প। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আবাসিক দফতর হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে এ বৈঠকের আয়োজন করা হয়।
পরে এক টুইটে ট্রাম্প লিখেন, বিকেলে হোয়াইট হাউসে টুইটারের জ্যাক ডোরসির সঙ্গে চমৎকার বৈঠক হয়েছে। তাদের প্ল্যাটফর্ম সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কথা হয়েছে। সামগ্রিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়া নিয়েও কথা হয়েছে। এ পোস্টের সঙ্গে জ্যাক ডোরসির সঙ্গে বৈঠকের একটি ছবিও যুক্ত করে দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের সঙ্গে জ্যাক ডোরসির এটিই প্রথম বৈঠক। তবে টুইটের উত্তরে তিনি লিখেছেন, ‘সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ। আমরা টুইটারকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাই।’ রয়টার্স জানিয়েছে, বৈঠকে জ্যাক ডোরসি ট্রাম্পকে তার ফলোয়ার কমে যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিভ্রান্তিকর তথ্য ও স্প্যাম ছড়ায় এমন অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। এতে বিপুল সংখ্যক অ্যাকাউন্ট কমে গেছে। ফলে অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদেরও ফলোয়ার কমে গেছে। এমনটি জ্যাক ডোরসির নিজেরও ফলোয়ার কমেছে।
প্রসঙ্গত সংবাদমাধ্যম ও বিরোধীপক্ষকে প্রায়ই ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টকেই হাতিয়ার করে নিয়েছেন ট্রাম্প। এমনকি এটি ছাড়া নির্বাচনে জয়ীও হতে পারতেন না বলেও প্রচলিত রয়েছে। তবে হুট করেই তার ফলোয়ার কেন কমে যাচ্ছে, তা নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। কিহোল নামের একটি সোশ্যাল মিডিয়া ডাটা ফার্মের তথ্য বলছে, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুধু এক মাসেই ট্রাম্পের ফলোয়ার কমেছে দুই লাখ চার হাজার। ওই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিভ্রান্তি ছড়াতে ব্যবহৃত সন্দেহভাজন অনেক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছিল টুইটার। সূত্র: রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।