প্রকাশ: ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১০:৪৩
বাংলাদেশ বর্তমানে ডিজিটাল রূপান্তরের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে অবস্থান করছে, যেখানে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) প্রযুক্তি দেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম। বিশ্ব অর্থনীতিতে AI-এর সম্ভাবনা বিশাল, এবং বাংলাদেশও এই প্রযুক্তি ব্যবহার করে তার উন্নয়নকে আরও ত্বরান্বিত করার পরিকল্পনা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০৩০ সালের মধ্যে AI প্রযুক্তি বিশ্ব অর্থনীতিতে ১৭ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার অবদান রাখতে পারে, যা বাংলাদেশের জন্য একটি সুবর্ণ সুযোগ সৃষ্টি করবে।
বাংলাদেশ সরকার ইতোমধ্যে AI প্রযুক্তির উন্নয়ন ও বাস্তবায়নের জন্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কৃষি এবং শিল্প খাতে AI প্রযুক্তির ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে। উদাহরণস্বরূপ, কৃষি খাতে AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকরা ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং কৃষি ক্ষতির পরিমাণ কমানোর জন্য ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করছেন।
স্বাস্থ্য সেবার ক্ষেত্রে, AI প্রযুক্তি রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় উন্নতি আনার কাজ করছে। AI চ্যাটবট এবং টেলিমেডিসিন সেবার মাধ্যমে গ্রামীণ জনগণের জন্য উন্নত স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। এছাড়াও, AI ভিত্তিক সিস্টেমগুলি দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিত্সা প্রদানে সাহায্য করছে, যা স্বাস্থ্য সেবার মান উন্নত করছে।
তবে, AI প্রযুক্তি সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করতে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেমন দক্ষ জনবল, পর্যাপ্ত অবকাঠামো এবং শক্তিশালী নীতিমালার অভাব। এই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করতে সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নেওয়া জরুরি।
বাংলাদেশের প্রযুক্তিগত ভবিষ্যৎ উন্নত করতে সরকার ও বেসরকারি খাতের যৌথ প্রচেষ্টা এবং AI প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রযুক্তি দেশের সকল খাতে দক্ষতা ও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এবং দেশের অর্থনীতি ও সমাজে ব্যাপক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।