টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে দুটি পন্থি গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন এই ঘটনা। সংঘর্ষের পর পরিস্থিতি মোকাবিলায় কামারপাড়া, আব্দুল্লাহপুর, উত্তরা সেক্টর-১০ এবং তুরাগ নদীর দক্ষিণ-পশ্চিম এলাকার মধ্যে সকল প্রকার সভা-সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক জারি করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে, ১৮ ডিসেম্বর বেলা ২টা থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ অঞ্চলে কোনও ধরণের জনসমাবেশের আয়োজন করা যাবে না। এটি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের অধীনে একটি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নেওয়া পদক্ষেপ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বিশ্ব ইজতেমার প্রস্তুতি হিসেবে সাদপন্থী মুসল্লিরা ২০ ডিসেম্বর থেকে টঙ্গী ময়দানে পাঁচদিনের জন্য ইজতেমা আয়োজনের পরিকল্পনা করছিলেন। তবে, তাদের ইজতেমা ময়দানে প্রবেশ ঠেকাতে পূর্ব থেকেই ময়দানে অবস্থান নিয়েছিলেন জুবায়েরপন্থীরা। এর ফলে দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়।
সংঘর্ষের ঘটনা তখন ঘটে যখন সাদপন্থীরা ময়দানে প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। এরই মধ্যে গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলা এবং ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে জুবায়েরপন্থীরা অবরোধ করে, যার ফলে যানজট সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জেরে পুলিশ ও র্যাব টঙ্গী এবং ঢাকার বিভিন্ন স্থানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে। সকাল থেকে টঙ্গী ময়দানে চার প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার সকালে গাজীপুর পুলিশ জানায়, সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং ৪০ জন আহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন কিশোরগঞ্জের বাচ্চু মিয়া (৭০), ঢাকার বেলাল (৬০) এবং বগুড়ার তাজুল ইসলাম (৬৫)। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে, মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা বিশ্ব ইজতেমা ময়দান ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সরকারের পাঁচজন উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের পর মাওলানা রেজা আরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।