বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় এখন চলছে নতুন উত্তেজনা। সম্প্রতি, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে, আর তাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়ার উদ্যোগও চলছে। এই পরিস্থিতির মধ্যে, অন্তর্বর্তী সরকারের নেতৃত্বে থাকা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং তার সরকার ভারত-বিরোধী ‘রাজনৈতিক ভাষ্য’ তৈরির চেষ্টা করছে বলে মনে করছে ভারতের সরকার।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ভারতের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ানোর চেষ্টা তাদের কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও জটিল করবে এবং বাংলাদেশে অর্থনৈতিক সুরাহা সম্ভব হবে না। এর পেছনে যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য ভারতকে সহযোগী হিসেবে দরকার। গত কয়েক দশকে, ভারত বাংলাদেশের জন্য ঋণ, অনুদান এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের মাধ্যমে বড় ধরনের সহযোগিতা প্রদান করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল প্রায় ১৬০০ কোটি ডলার, এবং বাংলাদেশ বর্তমানে ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে।
এছাড়া, বাংলাদেশ এখন বিদ্যুৎ সংকটের মুখোমুখি, যেখানে আদানি গ্রুপের কারণে বিদ্যুৎ সরবরাহ ৬০ শতাংশ কমে গেছে। চলতি মাসের শুরুতে বাংলাদেশকে ৮৪.৬ কোটি ডলার বকেয়া পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। এমন পরিস্থিতিতে, ১৭.৩ কোটি ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট জারি করে বাংলাদেশ কিছুটা বকেয়া পরিশোধ করেছে, তবে অনেকটাই বাকি রয়েছে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ভারতের সহায়তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত জরুরি।
বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে সংকটে রয়েছে, এবং তার ওপর ঋণের বোঝা বাড়ছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশ বর্তমানে বিভিন্ন দেশ থেকে ঋণ নিয়ে চলেছে, যার মধ্যে ভারতও রয়েছে। তবে, এসব ঋণ শোধ করতে গিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও চাপের মধ্যে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে, ভারতের সহযোগিতা না পেলে বাংলাদেশকে চরম অর্থনৈতিক সংকটের সম্মুখীন হতে হতে পারে।
দিল্লির মতে, যদি বাংলাদেশ ভারতে চাপ তৈরি করতে থাকে, তা হলে দেশের অর্থনীতি আরো খারাপ অবস্থায় চলে যেতে পারে। বরং, বাংলাদেশের উচিত হবে ভারতকে সঙ্গী করে তার অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করার চেষ্টা করা।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।