সরকারি কর্মচারীদের জন্য এবারই প্রথমবারের মতো গ্রেড অনুযায়ী মহার্ঘ ভাতা প্রদান করা হবে। নতুন এ সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, পেছনের গ্রেডে থাকা কর্মচারীরা তুলনামূলক বেশি হারে ভাতা পাবেন। অর্থ মন্ত্রণালয়ের চূড়ান্ত প্রস্তাব অনুযায়ী, ১ থেকে ৩ নম্বর গ্রেডের কর্মকর্তারা মূল বেতনের ১০ শতাংশ, ৪ থেকে ১০ নম্বর গ্রেডের কর্মচারীরা ২০ শতাংশ এবং ১১ থেকে ২০ নম্বর গ্রেডের কর্মচারীরা ২৫ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাবেন।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ভাতা কার্যকর হলে সর্বনিম্ন ৪ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৮০০ টাকা পর্যন্ত বেতন বৃদ্ধি পাবে। স্কেলের পার্থক্যের কারণে কেউ ৪ হাজার টাকার কম ভাতা পাবেন না।
এ মহার্ঘ ভাতা ২০১৫ সালে ঘোষিত সর্বশেষ জাতীয় বেতন স্কেল অনুসারে দেওয়া হবে। এটি কার্যকর হওয়ার পর পূর্ববর্তী ৫ শতাংশ বিশেষ প্রণোদনা সুবিধা বাতিল করা হবে। নতুন এ ব্যবস্থায় পেনশনে থাকা কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ভাতা পাবেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেস উর রহমান গতকাল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) নিশ্চিত করেছেন যে, চলতি অর্থবছরের মধ্যেই মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ভাতার হার নির্ধারণ ও কার্যকর করার বিষয়ে দুটি সভা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা ইনক্রিমেন্টের সময় মূল বেতনের সঙ্গে যোগ হবে।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাব অনুযায়ী, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের বেতনের সঙ্গেই মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে বাজেটে মহার্ঘ ভাতার জন্য কোনো বরাদ্দ নেই। এর জন্য উন্নয়ন বাজেট থেকে কিছু অংশ সমন্বয় করা হবে।
সরকারি চাকরিজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল মূল্যস্ফীতির সঙ্গে বেতন সমন্বয়ের জন্য মহার্ঘ ভাতা চালু করা। তাদের এই দাবি মূল্যায়ন করেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভাতা প্রদানের উদ্যোগ নিয়েছে।
বর্তমানে সরকারি প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১৪ লাখ কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন। চলতি অর্থবছরে তাদের বেতনভাতা বাবদ ৮১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। মহার্ঘ ভাতা কার্যকর হলে তা পরিচালন বাজেটের অন্য খাত থেকে সমন্বয় করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।