ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা পুলিশের বিশেষ জায়গায় কামড় দিয়ে পালিয়ে গেল

নিজস্ব প্রতিবেদক
জেলা প্রতিনিধি -ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রকাশিত: সোমবার ১১ই নভেম্বর ২০২৪ ০৭:১১ অপরাহ্ন
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুবলীগ নেতা পুলিশের বিশেষ জায়গায় কামড় দিয়ে পালিয়ে গেল

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হত্যা মামলার আসামি যুবলীগ নেতা হালিম মিয়াকে তার সমর্থকরা ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। রোববার (১০ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে নবীনগর উপজেলার রতনপুর ইউনিয়নের খাগাতুয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। হামলার পর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবিরসহ ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।  


হালিম মিয়া, যিনি রতনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি এবং স্থানীয় আবদুর কাদিরের ছেলে, তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। এর মধ্যে হত্যাকাণ্ড, ডাকাতি, চাঁদাবাজি এবং পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ, স্থানীয় ব্যক্তি মাসুদ মিয়া হত্যার মামলায় তার নাম উল্লেখ করা হয়েছে।  


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওসি মো. হুমায়ূন কবিরের নেতৃত্বে ১২ সদস্যের একটি পুলিশ দল গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে হালিম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় হালিমের কর্মীরা অতর্কিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালায়। তারা পুলিশকে আহত করে হালিম মিয়াকে ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।  


এ সময় ওসি হুমায়ূন কবিরের কবজিতে কামড় দেয়া হয় এবং পুলিশের আরেক সদস্যের মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যায় হালিম ও তার কর্মীরা। হামলায় আহত ছয় পুলিশ সদস্যকে দ্রুত নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।  


নবীনগর থানার ওসি মো. হুমায়ূন কবির এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘‘হালিম মিয়া একজন কুখ্যাত সন্ত্রাসী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, পুলিশের ওপর হামলা—এই ধরনের গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তার পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড অব্যাহত রয়েছে। হামলার সময় তিনি পুলিশের ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে পালিয়ে যান।’’ তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের ভ্যানে তোলার সময় পেছন থেকে তার লোকজন অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। হালিম আমার হাতের কবজিতে কামড়সহ পুলিশের আরেক সদস্যের মাথায় কুপিয়ে পালিয়ে যান।’