ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও অংশ চালু হয়েছে, তবে প্রকল্পের এখনও প্রায় অর্ধেক কাজ বাকি রয়েছে। ২০১১ সালে থাইল্যান্ডভিত্তিক ইটাল-থাই ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি এই প্রকল্পের কাজ পায়, কিন্তু অর্থায়ন ও ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে প্রকল্পটি আট বছর ধরে স্থগিত ছিল।
২০১৯ সালে অর্থ সংকটের কারণে ইটাল-থাই কোম্পানি ৪৯ শতাংশ শেয়ার চাইনিজ প্রতিষ্ঠান স্যাংডং ইন্টারন্যাশনাল ও সিনোহাইড্রো করপোরেশনকে বিক্রি করে। এর ফলে চীনের দুটি ব্যাংক থেকে ঋণ অনুমোদন হয়। অবশেষে ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে বিমানবন্দর থেকে তেজগাঁও পর্যন্ত ১১.৫ কিলোমিটার অংশ চালু হয়।
প্রকল্পের অংশ চালু হলেও, চীনা ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ার কারণে ইটাল-থাই কোম্পানিকে শেয়ার হস্তান্তরের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়। কোম্পানিটি শেয়ার হস্তান্তর ঠেকাতে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের আদালতের দ্বারস্থ হয়, কিন্তু সিঙ্গাপুরের আদালত গত সোমবার (২১ অক্টোবর) কোম্পানির আবেদন খারিজ করে দেয়।
এই রায়ের পর প্রকল্পটির শেয়ার হস্তান্তরসহ অন্যান্য জটিলতা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হয়েছে। প্রকল্প পরিচালক এএইচএম শাখাওয়াত আক্তার আশাবাদী যে, আগামী নভেম্বর থেকে তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী অংশের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।
তিনি জানান, “শেয়ার হস্তান্তরে নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি এখন আর নেই। আমাদের ঋণ দেয়া বন্ধ ছিল, কিন্তু রায় চীনের পক্ষে আসায় আমরা সুদের টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম হব। এখন ব্যাংক আমাদের ঋণ দেয়ার জন্য প্রস্তুত।”
প্রকল্পটি পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে, যেখানে সরকারের মালিকানা ২৭ শতাংশ। নির্মাণে বিলম্বের কারণে সরকার এবং জনগণের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
প্রকল্পটি ২০২৫ সালের জুনে সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বর্তমানে প্রতিদিন গড়ে ২০ হাজার যানবাহন চলাচলের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে পরিকল্পিত হলেও, বর্তমানে এর ব্যবহারের সংখ্যা দ্বিগুণেরও বেশি। এর ফলে সড়কের যানজট কমানোর ক্ষেত্রে এই প্রকল্পটির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।