রাজবাড়ীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: বুধবার ৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:০১ অপরাহ্ন
রাজবাড়ীতে সাংবাদিকদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ

রাজবাড়ীতে সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের নামে সাংবাদিক হয়রানির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টায় রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে জেলায় কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দের ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। এতে রাজবাড়ী জেলায় কর্মরত সর্বস্তরের সাংবাদিকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।


রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও সময় টিভির স্টাফ রিপোর্টার করিম ইছাকের সভাপতিত্বে রাজবাড়ী জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও সমকাল পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি সৌমিত্র শীল চন্দনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা রিপোর্টার ক্লাবের সভাপতি ও এটিএন বাংলার রাজবাড়ী প্রতিনিধি লিটন চক্রবর্তী, জেলা রিপোর্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি এজাজ আহম্মেদ, চ্যানেল ২৪ টিভির স্টাফ রিপোর্টার সুমন বিশ্বাস, বৈশাখী টিভির জেলা প্রতিনিধি আজু শিকদার ও দৈনিক আমাদের রাজবাড়ী পত্রিকার সম্পাদক ফকীর জাহিদুল ইসলাম রুমন। এছাড়া এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলার বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ।


মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাননীয় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোনো সাংবাদিককে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে না। কিন্তু বাস্তবে এই কথার উল্টো চিত্র আমরা দেখছি। সাংবাদিকদের কন্ঠরোধ করার জন্য সারা দেশেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দেয়া হচ্ছে।


বক্তারা বলেন, মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের কন্ঠ রোধ করা যাবেনা। বক্তারা অবিলম্বে সময় টিভির বার্তা প্রধান মুজতবা দানিশ এবং সময় টিভির রংপুর অফিসের ব্যুরো প্রধান রতন সরকারসহ সারাদেশে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও জিডিটাল নিরাপত্তা আইনটি বাতিল করার দাবি জানান তারা।


উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ৮ আগস্ট সময় টিভিতে ‘রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সামসুল হকের বিরুদ্ধে "ফলাফল জালিয়াতির অভিযোগ, তদন্তে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন" শিরোনামে একটি খবর প্রচারিত হয়। পরে মিথ্যা সংবাদ প্রচারের অভিযোগ এনে ওই বছরের ২১ সেপ্টেম্বর রংপুরের সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।