দলের সেরা খেলোয়াড়ের জন্য অপেক্ষা করল না বার্সেলোনা টিম বাস। লিওনেল মেসিকে অ্যানফিল্ডে রেখেই বিমানবন্দরে চলে গেল সেটি। ঘটনাটি একটু অবাক করার মতো হলেও সত্য। উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বে নিষ্প্রভ ছিলেন মেসি। তার দলও হয় বিধ্বস্ত। প্রথম পর্বে ন্যু ক্যাম্পে মেসি ম্যাজিকে ৩-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল লিভারপুল। নিজ দূর্গে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়ালো অলরেডরা।
বার্সার মতো দলের বিপক্ষে ছিলেন না মোহাম্মদ সালাহ ও রবার্তো ফিরমিনো। উপরন্তু ফাইনালে যেতে হলে অলৌকিক কিছু করে দেখাতে হতো লিভারপুলকে। তাই করে দেখিয়েছে দলটি। ওরিগি ও উইনালডামের জোড়া গোলে রূপকথার গল্প লিখেছে রেডরা। কাতালানদের ৪-০ গোলে হারিয়ে ইউরোপসেরা টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছে তারা। এতে টানা দুইবার ইউরোসেরা লিগের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন চুরমার হলো বার্সার। এ ম্যাচে ম্লান ছিলেন মেসি। খেলা শেষে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে ডোপ টেস্ট হয় বিষণ্ন ছোট ম্যাজিসিয়ানের।
তবে প্রক্রিয়াটা ছিল বেশ লম্বা। ফলে সেখানে অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই মেসির জন্য অপেক্ষা করেনি বার্সা টিম বাস। তাকে রেখেই সরাসরি বিমানবন্দরে চলে যায় সেটি। পরে বিশেষ ব্যবস্থা করে মেসিকে পাঠানো হয় বিমান ধরতে। এসময়ের মধ্যে ডোপ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয় তার। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় মনোবলে আঘাত পান তিনি। তাই নিরীক্ষা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেননি বার্সার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার। ময়দানি লড়াইয়েও আশাহত হন মেসি। এদিন লিভারপুলের গোল লক্ষ্য করে ৮টি শট নেয় কাতালানরা। এর মধ্যে মেসিই নেন পাঁচটি শট। তবে একটাও নিশানাভেদ করেনি। দিনটা যে আসলেই ছিল না ৩১ বছর বয়সী হালের মহাতারকার।
ইনিউজ ৭১/টি.টি. রাকিব
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।