বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক ফুটবলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ আজ (শুক্রবার) মাঠে নামছে স্বাগতিকরা লাওসের বিপক্ষে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টার ফাইনাল সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, আরটিভি ও নাগরিক টিভিতে।সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ ও ১৮ আসর ছাড়াও হংকংয়ে জকি কাপ জেতার অভিজ্ঞতা আছে বাংলাদেশের। এএফসির বিভিন্ন বয়সভিত্তিক আসরে সাফল্য তো আছেই। আজ বাংলাদেশের মহিলা ফুটবলের ট্রফিকেসে আরেকটি সাফল্য যোগ হওয়ার সুযোগ।দুই দলই নিজেদের শক্তিমত্তা দেখিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে। তবে স্বাগতিকদের চেয়ে লাওস একদিক দিয়ে এগিয়ে আছে। আগের তিন ম্যাচে দলটি করেছে ১৮ গোল, হজম করেছে মোটে একটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রতিপক্ষের জালে বল জড়িয়েছে ৭বার, আর হজম করেছে ১ গোল।মুহুর্মুহু আক্রমণ করে যেখানে লাওস একের পর এক গোল আদায় করে নিয়েছে, সেখানে বাংলাদেশকে পুড়তে হয়েছে হতাশায়। সানজিদা-তহুরারা জিতলেও গোল মিসের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন সব ম্যাচেই।
লাওসের দুই ফুটবলার পি ও সেসামোনে ইন্থাফোনে আছেন দারুণ ফর্মে। প্রথমজন ৮ গোল করেছেন, দ্বিতীয়জনের কাছ থেকে এসেছে ৪ গোল। এই দুজনের দিকে তাই আলাদা দৃষ্টি রাখতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশের আক্রমণভাগও কম শক্তিশালী নয়। বড় ব্যবধানে জয় না পেলেও সানজিদা-কৃষ্ণা-মার্জিয়ারা প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারদের ভালোই পরীক্ষা নিচ্ছেন। আর মনিকা তো সেমিফাইনালে দুর্দান্ত ভলিতে গোল করে সবাইকে চমকেই দিয়েছেন।ফাইনালের আগে তাই আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমী দৃঢ় কণ্ঠে বলেছেন, ‘ফাইনালে যেহেতু পৌঁছে গেছি, সেহেতু চাইব দেশের মাটিতেই ট্রফিটা রেখে দিতে। আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টগুলো নিয়মিত খেলছি। কখনও শক্ত ডিফেন্স, আবার কখনও শক্ত আক্রমণভাগের বিপক্ষে খেলতে হচ্ছে আমাদের। এটার সঙ্গে আমরা অভ্যস্ত। আমরা সেরাটা দিয়েই জিততে চাইব।’
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।