নোয়াখালীতে অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদের মধ্যে আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় হত্যা মামলার আসামি ও তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী রয়েছে। বৃহস্পতিবার নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইব্রাহীম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বুধবার রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। সুধারাম থানা থেকে তিনজন, হাতিয়া থানা থেকে একজন, বেগমগঞ্জ থানা থেকে একজন, চাটখিল থানা থেকে দুইজন ও চরজব্বর থানা থেকে দুইজনকে আটক করা হয়েছে। অভিযানে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, পুলিশ ও নৌপুলিশের যৌথ টিম অংশ নেয়। জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনতে এবং জনমনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
অভিযানে গ্রেপ্তারদের মধ্যে হাতিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর মো. নূর হাদী রয়েছেন। এছাড়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় সংঘটিত হত্যার ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকেও আটক করা হয়েছে। জেলা পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে এবং তাদের আদালতে হাজির করা হবে।
স্থানীয়দের মতে, সম্প্রতি এলাকায় চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও রাজনৈতিক সহিংসতা বৃদ্ধি পেয়েছিল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ অভিযানে সাধারণ মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। অভিযানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সমন্বিত পদক্ষেপে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির আশা করছেন এলাকাবাসী।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, অপারেশন ডেভিল হান্টের আওতায় সন্ত্রাস দমনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। যে কোনো অপরাধীকে আইনের আওতায় আনা হবে এবং জনগণের নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :
বি: দ্র: প্রিয় পাঠক সমালোচনা আপনার অধিকার । তবে ভাষাটাও মার্জিত হতে হবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ ।